কক্সবাজারে চাষীরা পাচ্ছে না লবণের ন্যায্য মূল্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

চলতি অর্থবছর ১৮ লাখ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ৩ হাজার ১শ’ ৭৮ হেক্টর জমিতে ৯শ’ ২০ জন চাষী সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে নেমেছে।

টেকনাফ বিসিক লবণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপসহ নাফ নদীর তীরে এ চার ইউনিয়নের ৩ হাজার ১শ’ ৭৮ হেক্টর জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ গত বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে।

২০১৭-২০১৮ গেল অর্থবছরে ৭৪ হাজার মেট্টিক টন লবণ উৎপাদিত হয়। চলতি অর্থবছর বাকি সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লবণ উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে এমন আশংখা করছেন কৃষকরা।

কৃষকেরা বুকভরা আশা নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে পেলে অধিকমূল্যের আশায় লবণ উৎপাদনে নেমেছে। লবণ উৎপাদনের শুরুতেই লবণের দরপতন ঘটেছে। ফলে কৃষক কূলের মধ্যে মনোবল ভেঙ্গে পড়ায় তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা ম্লান হতে বসেছে।

কৃষকের ভাষ্যমতে লবণ উৎপাদনকারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মধ্যস্থাকারীরা বেশী সুবিধা হাসিল করছে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজার জেলার সমুদ্র নাফ নদীর বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এখন লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এ ২ জেলার উৎপাদিত লবণ গোটা দেশের চাহিদা মেটায়। লবণ উৎপাদনের শুরুতেই লবণের দরপতন শুরু হয়। এতে চাষীকূল হতাশায় পড়ে। এসময় ভারত থেকে লবণ আমদানির পায়তারা ও চলে।

অভিযোগ উঠেছে, লবণ চাষীরা মিল মালিক ও দালালের কাছে জিম্মি।

চাষীরা বলেন, লবণের মূল্য হ্রাসের পাশাপাশি লবণ উৎপাদনের উপকরণের দাম ও বেশী। চাষীরা যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে লবণ উৎপাদনে নামে এবং মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, সে তুলনায় চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। মধ্যস্থভোগীরা এ ক্ষেত্রে বেশী লাভবান হচ্ছে। বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি লবণ বিক্রি করছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অথচ লবণ উৎপাদন মাঠে লবণ বিক্রি হচ্ছে, প্রতিমন ২শ’ ৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে চাষীরা সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। দালাল ও লবণ গোদাম মওজুদকারীরা লবণ চাষীদের জীম্মি করে রেখেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজারে চাষীরা পাচ্ছে না লবণের ন্যায্য মূল্য
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন