কক্সবাজারে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে ‘কক্সবাজারের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সায়মন বীচ রিসোর্টে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমদ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ উন্নয়ন) এসএম সরওয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি লে. কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও রিও প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, যুগ্ম পরিচালক মো. ফেরদৌস হোসেন খান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ও কক্সবাজার বন পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু।
সেমিনারে বলা হয়, ইসিএ এলাকা হিসেবে বর্তমানে সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া ও সমুদ্র সৈকত এখন পরিবেশগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ জন্য মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে আগের পরিবেশ।
পরিকল্পনা ছাড়া স্থাপনা গড়ে উঠায় দূষণের কবলে পড়েছে হোটেল মোটেল জোন। ৩শ’ ২৫ টি হোটেলে মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়েছে মাত্র ৪৬টি। স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) বাস্তবায়ন করেছে মাত্র ৬টি হোটেল। কক্সবাজারে প্রতিদিন কঠিন ও তরল বর্জ্য সৃষ্টি হয় ৫০ থেকে ৭০ টন। ১২ টন বর্জ্য শোধণাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শোধণাগারে বর্জ্য আসে মাত্র ২ টন। এই তথ্য থেকে বুঝা যায়, কক্সবাজার পর্যটন শহরের পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ অবস্থা।
সেমিনারে আরও বলা হয়, দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর মধ্যে পানি ব্যবহারের চেয়ে অপচয় হয় বেশি। পাহাড় কাটার মাটি, হ্যাচারির বর্জ্য ও হোটেল মোটেলের বর্জ্য সরাসরি যাচ্ছে সাগর ও নদীতে। বাঁকখালী নদী ভরাট, দখল হওয়ার কারণে শহরের লবণাক্ত পানি বেড়ে গেছে।
সেমিনারে বলা হয়, এসব নানা দূষণের কারণে কক্সবাজারে পর্যটক আসা হ্রাস পাবে এবং স্থানীয়দের জন্যও বসবাস অনুপযোগী হয়ে যাবে কক্সবাজারে। কক্সবাজারের পরিবেশ সুরক্ষার এসময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তবে দেরি করা যাবে না। দ্রুত উদ্যোগ নেয়া দরকার। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ অধিদফতরের তত্বাবধানে খুরুস্কুলে পরিবেশ বান্ধব ২শ’ ২৫ পরিবারের জন্য আবাসন ভবন তৈরি করা হবে বলেও সেমিনারে জানানো হয়।