কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফরকে মন্ত্রী দেখতে চান জেলাবাসী

চকরিয়া প্রতিনিধি:

সদ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী জাফর আলমকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় জেলাবাসী।

১৯৭৩ সালের আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. সামসু উদ্দীন চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয় পাননি। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর জাফর আলমের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে এ আসনটি।

কক্সবাজারের চার আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলমের হাত ধরেই নৌকার বড় জয় আসে।

এদিকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই পেতে গুঞ্জন উঠেছে। ৪৫বছর পর এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করায় এ দাবি আরও বেশি জোরালো হয়ে ওঠে। বিএনপির ঘাঁটি বলে খ্যাত এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো এমপি না থাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড একেবারেই অবহেলিত চকরিয়া উপজেলা। বিগত ২০০১ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওইসময় তিনি প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য শিকার হন চকরিয়াবাসী। তাই চকরিয়াবাসীর সঙ্গে করা সেই বৈষম্যের জবাব দিতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি উঠেছে এখানকার মানুষের পক্ষ থেকে। জাফর আলম প্রথমে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র, পরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাত করেন নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাফর আলম। এসময় নব নির্বাচিত এমপি জাফর আলম আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নৌকা প্রতীকের স্মারক হিসেবে ফুলের নৌকা উপহার দেন।

কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৩৯টি কেন্দ্রে দুই লাখ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাসিনা আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৬০১ ভোট।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন