কনের মত না থাকায় বিয়ে বন্ধ করলো মানিকছড়ি প্রশাসন

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরীস্থ আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন মো. ফজল হকের কন্যা
সালমা আক্তার (১৬) মানিকছড়ি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের
মেধাবী ছাত্রী। তার অজান্তে ফটিকছড়ির বিবাহিত মো. আবদুল করিম (৪৮) এর
সাথে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে অভিভাবক। ৫ অক্টোবর দুপুরে অনেকটা ঘরোয়া
পরিবেশে বিয়ের আসরে জোরপূর্বক বসতে হয় সালমাকে। সফরসঙ্গী নিয়ে বর ও কাজী
হাজির। ঘরে চলছে খাওয়া-দাওয়া। এ যখন অবস্থা ঠিক তখনই কনের শেষ চেষ্ঠায়
বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

খবর পেয়ে বেলা ২.৩০ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উদদিন
মুরাদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম ও  জনপ্রতিনিধি মো. আশ্রাফ
মেম্বার, এস.আই মো. কামাল হোসেন ফোর্স নিয়ে দ্রুত ছুঁটে যান কনের বাড়িতে।

জিজ্ঞাসাবাদে সালমা জানায়, তার অমতেই বিয়ের এ আয়োজন। ফলে ইউএনও
কনের পিতা মো. ফজল হককে এ বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেন
শিক্ষার্থী সালমার পড়া-লেখায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে প্রশাসন। আর বর মো.
আবদুল করিমকে বলেন, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত ২য় বিয়ে বেআইনি। পরে বর
ও কনে পক্ষ তাদের ভূল স্বীকার করায় বিয়ে বন্ধ করে বরপক্ষের লোকজনকে বের করে
দেন ইউএনও মো. আহসান উদদিন মুরাদ। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী
সালমা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন