Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না, ভূমি কমিশনের উপর আস্থা রাখুন- বিচারপতি আনোয়ারুল হক

khagrachari-picture-27-10-2016

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার-উল-হক সকল পক্ষকে শঙ্কিত ও আতংকিত না হয়ে কমিশনের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার পাশাপাশি সহনশীল হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি করবে, কেউ উচ্ছেদ হবে না।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি করবে, বিচার করবে না। কমিশন প্রতিটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন মাঠে যাবে। একপক্ষীয় কোন রায় হবে না।

আইনের বিধিমালা প্রনয়ন প্রসঙ্গে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, আইন প্রয়োগ করতে গেলে যদি প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় তার উপর ভিত্তি করে বিধিমালা প্রনয়ন হবে। নতুন করে আবার আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার-উল-হক বলেন, বৈঠকে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। পূর্ব চেয়ারম্যানের মেয়াদে জমা পড়া ৪৪০৮টি আবেদনও আমলে নেওয়া হবে তিনি জানান।

পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার-উল-হকের খাগড়াছড়ি সফরকে কেন্দ্র করে শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের এক সমাবেশ থেকে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্চিত ও সকল কার্যক্রম প্রতিহতের ঘোষনাসহ ভূমি কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ না হলে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে লাগাতার কর্মসূচীর হুমকি দেওয়া হয়।

পাহাড়ে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ক্ষতিগ্রস্তদের ৪৫দিনের মধ্যে আবেদন চেয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে প্রায় ১৪ হাজার ৮শ ব্যক্তি আবেদনপত্র পড়ে। পাশাপাশি আগামী ৩০ অক্টোবর পার্বত্য ভূমি কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক আহবান করা হয়েছে।

গত কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের মেয়াদেও আরো এক দফা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সে সময় ৪৪০৮টি দআবেদন কমিশনে জমা পড়ে।

১৯৯৭ সালে সম্পাদিক পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা করে আসছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের ১ লা আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন ও ৯ আগষ্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশের পর গত ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদের পাশ হয়। বাঙালি সংগঠনগুলো আইন সংশোধনের পর থেকে আইনটি বাতিলের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চেয়ারম্যান, পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন