কাউখালীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ
রাঙ্গামাটির কাউখালীতে তিন মাসের কথিত প্রেম আর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক তরুণীকে টানা পাঁচ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে কাউখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, অভাবের তাড়নায় এক বছর পুর্বে উত্তর বঙ্গের দিনাজপুর থেকে কাজের সন্ধানে কাউখালী আসে নুরুল ইসলাম ও তার পরিবার। এখানে এসে তারা বেতবুনিয়ার গোদারপাড় এলাকার জনৈক হামজা সওদাগরের ভাড়া বাসায় উঠেন। সেখানে গত তিন মাস যাবৎ পাশ্ববর্তী গোলাম রসুলের ছেলে সুমনের (২২) সাথে ঐ নারীর কথিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অভিযুক্ত সুমন গত পনের দিন যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ নারীর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে সুমন ঐ নারীর অসহায়ত্বের সুযোগে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত পাঁচদিন যাবত ধর্ষন করে। সবশেষ গত ১২ জুন রাতে ধর্ষক সুমন ঐ নারীকে কথা আছে বলে তার বাড়ীর পাশে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে পুনরায় ধর্ষন করে।
এ সময় সুমনের মামাতো ভাই মনির হোসেন (৩০) দেখে ফেলায় ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। বিষয়টি সমাজের সর্দারকে জানানো হয়। পরদিন ১৩ জুন সমাজের সর্দার বাদশা মিয়া ও প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে। সামাজিক বিচারের নামে তারা ধর্ষিতা নারীর পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে দিতে সুমন ও মামাতো ভাই মনির মোবাইল ফোনে ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। তাদের উপূর্যপুরী হুমকির মুখে নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা তার মা ও ভাবীকে নিয়ে ১৭ জুন কাউখালী এসে সুমনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এতোদিন কেন ঘটনা কাউকে জানায়নি জানতে চাইলে ধর্ষিতার ভাবী জানান, আমরা অনেক দুর থেকে কাজের সন্ধানে এখানে এসেছি। গরীব বিধায় কারো সাথে তেমন সম্পর্কও গড়ে উঠেনি। তাছাড়া কাউকে বলতেও লজ্জা লাগছিলো।
কাউখালী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাখওয়াত হোসেন জানান, থানা বাদিনীর অভিযোগ গ্রহণ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদীপ্ত রেজাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অভিযুক্ত সুমনকে ধরতে পুলিশ সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।