“পাহাড়ের ঢালুতে অপরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমতি ব্যতিত হর-হামেশা পাকা-ঘৃহ নির্মাণ করছে।”

কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

fec-image

কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এতে আবারও বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকার লোকজন।

পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রাণ রক্ষার্থে বসবাসরত লোকজন পাহাড়ের ঢালুতে এক দিকে প্লাস্টিক (তেরপাল), দিয়ে রক্ষার চেষ্টা অন্য দিকে প্রতিনিয়ত চলছে অপরিকল্পিতভাবে পাকা দেয়াল-ঘর নির্মাণ। প্রশাসন বারবার সচেতন করলেও কে কার কথা শোনে।

গত বছর রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধসে প্রায় ১৮জনের করুন মৃত্যুসহ বহু লোক আহত হয়েছে। এর পর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করতে নিষেধ করলেও তার কোন কর্ণপাত করা হচ্ছেনা।

কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি সড়কের ওপর, বড়ইছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক, শীলছড়ি, চিৎমর, নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী, লগগেইট, কার্গো ডাউন সাইডসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার লোকজন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে দেখা যায়।

এদিকে বসবাসরত ইসমাইল, হোসেন, রাবেয়া, খলিল এরা বলেন, আমাদের কোন নিজস্ব কোন সম্পত্তি নেই,নেই কোন ঘর-বাড়ি সরকারের পক্ষ থেকে ভুমি ধসের সময় পার্শ্ববতী স্কুল, ক্লাব ঘরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হয়। বারবার বলছি আমাদের নিজস্ব কোন ভূমি বা থাকার জায়গা করে দিন। দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমাদের আর কোন খবর রাখে না। তাই শত, মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও আবার একই জায়গায় বসবাস করছি বলে ভুক্তভুগী বা পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসরত লোকজন উল্লেখ করেন।

এদিকে কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখাযায় পাহাড়ের ঢালুতে অপরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমতি ব্যতিত হর-হামেশা পাকা-ঘৃহ নির্মাণ করছে। বসবাসরত লোকজন পাকাঘর বা নিজস্ব ঘর-বাড়ি রক্ষার্থে প্লাস্টিক (তেরপাল), দিয়ে ভুমিধস রক্ষার চেষ্টা করছে। এদিকে ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান জানান,পাহাড়ের ঢালুতে অবশ্যই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। আমরা এদের বারবার নিষেধ করার পর কোন কর্ণপাত করছেনা।

তিনি আরও জানান, বসবাসরত লোকজনের নিজস্ব কোন সম্পত্তি না থাকায় ঝুঁকি জেনেও বসবাস করছে । এদের চিরস্থায়ী ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করে দিলে হয়তো এ ঝুঁকি নিয়ে আর বসবাস করতো না বলেও জানান।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফ আহমেদ রাসেল বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বারবার বলেছি এবং সতর্ক করে দিয়েছি। যেন ঝুঁকিতে কেউ বসবাস না করে। কেউ যদি অন্যায়ভাবে পাহাড় কর্তন করে বসবাস করে বা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত ঘৃহ নির্মাণ করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন