কুতুবদিয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাল্যবিয়ে

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ১২ বছর বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লেমশীখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বশির উল্লাহ সিকদার বাড়ির নুরুল আবছারের ১২ বছর বয়সী মেয়ে স্থানীয় আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আসমাউল হুসনার(আসমা) বিয়ের দিন ছিল গত ২১ অক্টোবর। বিষয়টি এলাকার সচেতন মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি কয়েকজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন। মেয়ের মা-বাবাকে বাল্য বিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা নেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মেয়ের মা এর ৪/৫ দিন পরই গোপনে ছিদ্দিক হাজীর পাড়ায় মেয়েটির তালই বাড়িতে বরকে ডেকে এনে বিয়ে সম্পন্ন করেন। স্থানীয় কাজী রেজিস্ট্রার করতে অপারগতা প্রকাশ করলে গোপনে বর ও কনে পক্ষের মাঝে লিখিত স্ট্যাম্পে চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়। মেয়েটির মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে সোমবার (৫ নভেম্বর) রাতে পার্শ্ববর্তী ফুফা আব্দুর রহমানের বাড়ি থেকে মেয়েকে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। বিষয়টি নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায়ের নজরে দেয়া হলে তিনি রাতেই পুলিশ সহ মাদ্রাসার সুপারকে পাঠান। একথা জানতে পেরে মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে তারা। যার ফলে বর ছোটনের  তেলিয়াকাটার বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রতিবেশি জানান, রাতেই কনের বিয়ের পোশাক খুলে তাকে দক্ষিণ ধুরুং কালাচান পাড়ায় নানা সিরাজুদ্দৌল্হার বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. মোর্শেদুল মন্নান বলেন, মেয়েটি গত ১ নভেম্বর থেকে মাদ্রাসায় যাচ্ছে না। তবে বিয়ে হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত দাবি করে তিনি আরও জানান, তারা খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গেলে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেয়েটি বেড়াতে গেছে বলে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তপুর্বক উপজেলা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন