কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউপি‘র উপনির্বাচন আগামীকাল

fec-image

কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আগামী কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বড়ঘোপ ইউপি‘র চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

নির্বাচনে ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামেন। এদের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান বড়ঘোপ ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি আবুল কালাম দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন দলীয় পরিচয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অপর প্রার্থী শিল্পপতি ধনাঢ্য পরিবারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ শাকের উল্লাহ বিএসসি‘র ভাতিজা তৌহিদুল ইসলাম খোকন তিনিও স্বতন্ত্র ভাবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

বড়ঘোপ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ১৯ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৯০৭ এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৯৩৫৬ জন। ৯ ওয়ার্ডে কেন্দ্র কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মধ্য আলী আকবর ডেইল, অমজাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়, কাজী হেলাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুরালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনোহর খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ।

মাত্র দেড় বছরের জন্য চেয়ারম্যাান পদের জন্য ভোট যুদ্ধে ৩ প্রার্থীই সমানে সমান এগিয়ে আছেন বলে মনে করেন ভোটাররা। প্রচারণাও সমান তালে তারা এগিয়ে রাখছেন। তবে প্রচারণায় ঘোড়া প্রতীকের শহীদ উদ্দীন ছোটনকে এগিয়ে রাখছেন তার সমর্থকেরা। নৌকা প্রতীকে সরকারি দলের বা প্রশাসনের প্রভাব থাকতে পারে এমন আশঙ্কাও করেন অনেকে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রচারণার শেষ দিনে ঘোড়া ও নৌকা প্রতীকের শেষ পথসভা কুতুবদিয়া হাই স্কুল মাঠে ডাকা হলে পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন সেখানে কোন প্রার্থীকেই সভা করতে দেননি। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি অতি নগন্য হলেও ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হলে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু পরিচালনায় নিরাপত্তার বিষয়ে থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, ভোট হচ্ছে উৎসব মুখর বিষয়। কোন প্রার্থীর পক্ষে এটি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল ইসলাম সিকদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু পরিচালায় শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। ৯টি কেন্দ্রের জন্য ৩জন ম্যাজিসেট্রট ছাড়াও পুলিশ, আনসার সদস্য নিরপত্তা দেবে। ভোটারগণ নির্বিগ্নে কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন এ প্রত্যাশা করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন