ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বীকৃতি দিলে দেশের স্বার্বভৌমত্বের ক্ষতি হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে দেশের স্বার্বভৌমতের উপর ক্ষতিক্ষারক প্রভাব পড়বে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি বা উপজাতীয়রা নয়, বাঙালীরাই পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের আদিবাসী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি কর্তৃক আদিবাসী রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত করার সূদর প্রসারীর ষড়যন্ত্র ।

উপজাতীয় সংগঠন কর্তৃক সাংবিধানিক ও রাষ্ট্র বিরোধী কথিত আদিবাসী স্বীকৃতি দাবি সংক্রান্ত অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বৃহত্তর বাঙালী ছাত্র পরিষদের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, আদিবাসী শব্দটি উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শব্দের নিছক প্রতিশব্দ নয়। আইএলও কনভেশন-১৬৯ আর্টিক্যাল এবং আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র ২০০৭ এর আলোকে দেশের স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আদিবাসী শব্দটির গুরুতর নেতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে। উপজাতীয়রা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশী স্বার্বভৌমত্বের উপর ক্ষতিক্ষারক প্রভাব পড়বে বলে বক্তারা যোগ করেন।

বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে দেশের জন্য যেসব ক্ষতি হতে পারে যেমন:

পূর্ব তিমুর, দক্ষিল সুদান ও জিবুতির ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাও আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমির উপর বাংলাদেশ সরকারের কোন এখতিয়ার থাকবে না।

আদিবাসীদের অনুমতি ব্যতিত পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষায় কোন সামরিক কর্মকান্ড পডরিচালনা করা যাবে না।

কোন অপরাধের জন্য আদিবাসীকে বাংলাদেশের চলতি আইনে বিচার করা যাবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর বাংলাদেশের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এবং কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকার উপর বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রণ হারাবে।

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজাতি সঙগঠনগুলো দীর্ঘ প্রতিক্ষিত কাল্পনিক স্বাধীন জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তাই উপজাতীয় সংগঠনগুলো জাতিসংঘের শিখানো আদিবাসী স্বকৃতির দাবি গত কয়েক বছর ধরে হঠাৎ করে তৎপর হয়েছে, যা ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতেও উল্লেখ নেই।

নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েতুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যুব ফ্রন্ট রাঙামাটি শাখার উপদেষ্টা কাজী জালোয়া।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি যুব ফ্রন্টের সভাপতি আব্দুল মান্নান রানা, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদ রাঙামাটি শাখার সভাপতি রাসেল ইসলাম সাগর প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন