খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে তিন দিনব্যাপী সাংগ্রাইং শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাঁণের উৎসব বৈ-সা-বি-কে ঘিরে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় আনন্দের রং ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে আজ থেকে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং উৎসব।
মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জেলা শহর নানা রং এ রঙ্গিণ হয়ে উঠেছে। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সাংগ্রাইং র্যালী ও জলকেলি বা জলোৎসব।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ক্যং ফুল পূজার মধ্য দিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা হয়। সাংগ্রই উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়ি এসেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক।
মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসবে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করে। মার্মা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দু:খ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সাথে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে। সাংগ্রাইং উৎসব উপভোগ করতে খাগড়াছড়ি এসেছেন অনেক পর্যটকও।
সকালে খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়া পাড়ায় মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সাংগ্রাইং ও পানি উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গাজী মাহমুদ সাজ্জাদ, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামানসহ সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাথে সাথে উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারি দিকে। পরে শহরে বের হয় বর্ণ্যাঢ্য র্যালি।
এছাড়াও উৎসব উপলক্ষে নানা খেলা-ধুলা, পিঠা উৎসব, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ওপেন কনসার্টের আয়োজন করা হয়।