খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব `বৈসাবি’ উৎসবের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বৈসাবি উৎসব। মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজাতীয় শরনার্থী ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স  চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এ উৎসবের  উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরজ্জামান জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মেলা বসেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জিতেন চাকমাসহ জেলা পরিষদের সদস্য ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে বৈসাবি নামে এ উৎসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে বৈসাবি শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামকরণ করা হয়।

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্রময় করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন