খাগড়াছড়িতে পিকেটিংকালে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সংঘর্ষ, আহত ৫, ১ বাঙ্গালীকে ধরে নিয়ে গেছে পাহাড়ীরা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
গত ২৭ শে মে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে পার্বত্য চট্রগ্রাম ভুমি কমিশন আইনের সংশোধনী প্রসÍাব পাশ করার প্রতিবাদে তিন বাঙ্গালী সংগঠনের ডাকে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
হরতালের সমর্থনে কলেজ গেইট এলাকায় টিকেটিং করার সময় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদেও মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে স্ব-নির্ভর এলাকা থেকে উপজাতীয়দের একটি দল লাঠি নিয়ে বাঙ্গালীদের উপর আক্রমন করে। এতে পুনেন্দ্র দাশ ১৮ কে গুরুতর আহত কওে এবং নাসির নামে বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের এক কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে বাঙ্গালী সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ গেইট সবুজবাগ এলাকায় আক্রমনের চেষ্ঠা করে। পাহাড়ী পাল্টা আক্রমন করলে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হরতালের শুরুতেই বাঙ্গালীদের তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা খাগড়াছড়ি শহরে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে শহরের পার্বত্য ভুমি কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা আহবায়ক আবদুল মজিদ অভিযোগ করে বলেন ভুমি কমিশন আইন সংশোধনীর মাধ্যমে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালীদেরকে উচ্ছেদ করার নীল নকশা করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে বিতর্কিত ভুমি কমিশন আইন বাতিলসহ পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার অপসারন দাবী করেন। দাবী মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের এই নেতা।
এদিকে হরতালের কারনে খাগড়াছড়ি থেকে দূর- পাল্লার এবং আন্তঃ উপজেলার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের সকল দোকানপাঠ ছিল বন্ধ। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য একই দাবীতে তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ গত বৃহষ্পতিবার সড়ক ও নৌ পথ অবরোধ করেছিল।
Ei kajti korar pokkhe bipokkhe ami kichu bolchina…ami sdho bolte chachi shantote thakte parlei holo..