খাগড়াছড়িতে শন্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সোমবার খাগড়াছড়িতে শন্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলকাছ আল মামুন ভুইয়া এক বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

সোমবার পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এর অফিস সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান সাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বাঙ্গালী হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ।

অন্যদিকে, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার নিরীহ বাঙ্গালী মোটরসাইকেল ড্রাইভার আজিজুর রহমান শান্তকে পাহড়ী সন্ত্রাসী কতৃক অপহরণের পর গলাকেটে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে অবরোধের সমর্থনে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে কোর্ট বিল্ডিংএলাকাসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করা হয়। উক্ত মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সম্পাদক ও সাবেক জেলাসভাপতি সাহাজল ইসলাম সজল, সাবেক জেলা সেক্রেটারী মাসুম রানা, তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, মোস্তফা কামাল, জাহিদ, আজম খান প্রমূখ।

সমাবেশে শান্ত হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, রাঙ্গামাটির ৩ জন এবং শাহিন গাজী ও রুহুল আমিনকে উদ্বারের জোর দাবি জানানো হয়। উক্ত দাবিতে আজ সকাল- সন্ধ্যা খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক ও নৌপথ শান্তিপর্ণ অবরোধ পালন করা হয়। এদিকে মানিকছড়ি, গুইমারা, দিঘীনালা এবং খাগড়াছড়িতে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জ ছাড়া আর কোথাও কোন অঘটন ঘটেনি।

সোমবার অবরোধ চলার সময় উক্ত পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ওপাবর্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলকাছ আল মামুন ভুইয়া।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আঞ্চলিক পরিষদের গেরিলা সশস্ত্র সংগঠন জনসংহতি সমিতি তথা শান্তি বাহিনীর সাথে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর অতিবাহিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো শান্তি ফিরে আসেনি। শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল শান্তির জন্য, কিন্তু শান্তির পরিবর্তে পাহাড়ী সশস্ত্র সংগঠন গুলো রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। চুক্তির ফলে পাহাড়ে চাঁদাবাজি আরো বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিবৃতিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, একের পর এক নিরীহ বাঙালীদের অপহরণ করছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা (রাঙ্গামাটিতে-৩ জন,পানছড়িতে-২জন ,বাঘাই ছড়িতে-১জন ,মাটিরাঙ্গায় খুন-১জন)। অথচ পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার। পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অপহরণ করার পর মুক্তিপণ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন কাউকে উদ্ধার করতে পেরেছে আজ পর্যন্ত এমন কোন নজীর নেই। অন্যদিকে প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে না পারায় বাঙালীরা অপহৃত স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে মামলা করতে ভয় পায়। এই কারণ দেখিয়ে প্রশাসনও গা ছাড়া দিয়ে থাকে। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না। অচিরেই অপহৃতদের উদ্ধার না করলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বাঙালীদের ঐকবদ্ধ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুশিয়ারী উচ্চাড়ন করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন