খাগড়াছড়িতে ৮ মাসে ১০ খুন : প্রতিনিয়ত ঘটছে অপহরণের ঘটনা : নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার

cht arms

মুজিবুর রহমান ভুইয়া, খাগড়াছড়ি থেকে:

পাহাড়ে দিনের পর দিন হত্যাকান্ডের ঘটনা বেড়েই চলছে। আবার এসব হত্যাকান্ডের পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করছেনা। ফলে কোন হত্যাকান্ডই বিচারের মুখ দেখছেনা। হত্যাকান্ড বা ঘটনার পরপর পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলেও তাদেরকে সহায়তা করা হয়না। ফলে নিরাপত্তা বাহিনী বরাবরই এসকল হত্যাকান্ডের বিষয়ে অন্ধকারে থেকেছে। আর না থেকেই বা উপায় কি। তাদের এ সংঘাত কবে আর কিভাবে বন্ধ হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। পেছনের আট মাস বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে তাদের (পিসিজেএসএস, পিসিজেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ) দৌরাত্ব কতটা বেড়েছে।

খাগড়াছড়িতে গত সাত মাসে ১২টি খুনের ঘটনাসহ প্রতিনিয়িত ঘটছে অপহরণের ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন। আর বিভিন্ন সময়ে ১২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। চাঁদাবাজি তো সেখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এসব খুন, গুম, অপহরণ আর চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছে পাহাড়ী জনপদে অনিবন্ধিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার।

স্ব-স্ব গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সন্তু গ্রুপ) তিনজন মারা গেছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে একজন, একজন অপহৃত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) মারা গেছে চারজন আর গুলিবিদ্ধ হয় একজন। অন্যদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিনজন মারা গেছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে তিনজন আর অপহৃত হয়েছে দুইজন। অপরদিকে মাটিরাঙ্গা সদরের কাছাকাছি বটতলী এলাকায় চাঁদা না পেয়ে হত্যা করা হয় এক ইটভাটা শ্রমিককে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে চারজন, অপহরণের পর হত্যা করা হয় এক কাঠ ব্যবসায়ীকে। এছাড়া আরো চারটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন এলাকায়।

চলতি বছরের শুরুতেই ৯ জানুয়ারি জেলার পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সন্তু গ্রুপ) কর্মী কালো প্রিয় চাকমা (৩৮)। এর তিন দিনের মাথায় ১২ জানুয়ারি জেলা শহরের খবং পুড়িয়া এলাকা থেকে অপহৃত হন সাবেক শান্তি বাহিনীর সদস্য সুনেন্দু বিকাশ চাকমা (৫৫)। তার তিন দিনের মাথায় ১৫ জানুয়ারি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি থেকে অপহৃত হন মৌজা প্রধান মনলাল ত্রিপুরা (৪০) ও  ইন্দু কুমার ত্রিপুরা (৩০)। এর দুই দিন পর ১৭ জানুয়ারি জেলার পানছড়ি উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) ও ধর্মনেন্দু চাকমা (৩২) নামে দুই জন।

জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকায় ২৫ জানুয়ারি ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবীতে হত্যা করে মো: ফারুক হোসেন (১৯) নামে এক ইটভাটা শ্রমিক। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আবুল হোসেন (৫৫) ও শাহ জাহান (৩০) নামে দুইজন। এর ক‘দিন পরে ৩১ জানুয়ারি দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা পর্যায়ের সদস্য সুমেন চাকমা (৩২)।

৫ ফেব্রুয়ারি দীঘিনালার উত্তর গবছড়িতে অপহরণের পর কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাঠ ব্যবসায়ী অমর বিজয় চাকমাকে (৩৫)। গত ২৬ মার্চ দীঘিনালার বাস স্টেশন এলাকায় অস্ত্রধারীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দীঘিনালা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন ত্রিপুরা (৪৫)। পরের মাসে ১৭ এপ্রিল দীঘিনালার পূর্ণ চন্দ্র কার্বারি পাড়ায় নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত যুব সমিতির সদস্য শান্তি মণি চাকমা (২৮)।

২ মে লক্ষীছড়ি উপজেলার জুর্গাছড়ি এলাকায় নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সন্তু গ্রুপ) লক্ষীছড়ি শাখার সদস্য মনাইয়া চাকমা (২২) ও শান্তিমণি চাকমা (১৬)। তখন এ হত্যাকান্ডের জন্য পিসিজেএসএস এর পক্ষ থেকে চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ-কে দায়ী করা হয়েছিল।

১৮ মে মাটিরাঙ্গার গোমতিতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি পঞ্চসেন ত্রিপুরা (২৪) কে। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে পিসিজেএসএস (সন্তÍু লারমা) গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছিল। এ গটনার দুইদিন পর ২০ মে পানছড়ির দুদকছড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সদস্য অনুরাগ চাকমা (২৭) ও সুহাস চাকমা (২২)। একই ঘটনায় ৩৬ জন অপহরণের অভিযোগ ওঠে ইউপিডিএফের ছাত্র সংগঠন পিসিপির পক্ষ থেকে।

১০ জুন দীঘিনালার লম্বাছড়া ও জারুল ছড়া মুখ থেকে গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা জিসান চাকমা (২৯) সহ তিন জনকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। অন্যরা হলো লম্বা ছড়া গ্রামের নয়ন কুমার চাকমার ছেলে শান্তিপ্রিয় চাকমা (৩২) ও কালেন্দ্র চাকমার ছেলে চগা চাকমা (৪২)। রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক কাজ শেষে গুইমারা ফেরার পথে মোটর সাইকেল চালক সহ মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুইমারা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলমকে ১৬ জুন বিকালে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ৬দিন পর ২১ জুন বিকালে তাকে মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দেয় সন্ত্রাসীরা।

দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে ইউপিডিএফ সমর্থক বড় গামা চাকমাকে অপহরণ করা হয় ১৯ জুন। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২১ জুন খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাঁচ মাইল এলাকায় ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হত্যা করে মোটরসাইকেল চালক চাঁন মিয়া চাকমাকে (৩৫)। এসময় সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইেকেলটি নিয়ে যায়।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুল ফটকে গত ২৯ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) পানছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুপন চাকমা ওরফে সাগর বাদশা (৪০) প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। একই দিন মাটিরাঙ্গার গুইমারার রামছু বাজার এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের গুইমারা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলীকে (২০)। একদিন পর মানিকছড়ির গচ্ছাবিল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুই দিন পর ২ জুলাই দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের পাঁচ বাড়ি এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত যুব সমিতির সদস্য মিঠুন চাকমাকে (৪০)।

গত ৪ জুলাই পানছড়ি উপজলোর পুজগাঙ এলাকায় অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা সমীরণ চাকমা (৩০) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সদস্য পুর্ণ কুমার চাকমা ওরফে জার্মান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে শ্যামল চাকমা নামে অপর একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ গত ২৫ আগষ্ট রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন পরশুরামঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে বিশাল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক উপজাতীয় যুবককে অপহরণ করেছে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধীমান চাকমার নেতৃত্বে ৫/৬জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। বিশাল ত্রিপুরা স্থানীয় সেনাক্যাম্পে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করতো বলে জানা গেছে।

এর বাইরে আরো অনেক ঘটনা রয়েছে যা প্রশাসন বা সংবাদকর্মীদের নজরে আসেনি। তাই এসব নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনার সুযোগও নেই।

এদিকে এসকল সহিংস ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিভুরঞ্জন চাকমা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হিসেবে আমাদের চারজন নেতাকর্মীর কথা বলা হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ১৬ জন। আর প্রতিটি ঘটনার জন্য তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, জাতীয় বেইমান সন্তু লারমা পাহাড়ে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখতেই একের পর এক হত্যাকা- চালাচ্ছে।

অপরদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা সেলের মুখপাত্র নিরন চাকমা বলেন, সন্তু লারমা পাহাড়ে ইউপিডিএফ নিধনে নেমেছে। তাই একের পর এক আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে চলেছে। সন্তু লারমা পাহাড়ে শান্তি আসুক তা চায় না বলেই এসব সহিংসতার জন্ম দিয়ে চলেছে। সংঘাত বন্ধের জন্য আমরা বারবার তাকে আহ্বান জানালেও তাতে তিনি কোন সাড়া দেননি। তিনি বলেন, সন্তÍু লারমার উচিৎ পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা।

অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা গ্রুপ) তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা পার্বত্যনিউজকে বলেন, দল দু’টি বছরের পর বছর কোনো ঘটনা ঘটলেই আমাদের দায়ী করে। আমাদের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট।

তিনি আরও বলেন, পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) সশস্ত্র ও সহিংস কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। মূলত ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএসের (সংস্কার) এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত। তারা যতদিন থাকবে পাহাড়ে এই ঘটনাগুলো চলতেই থাকবে।’’

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমান পার্বত্যনিউজকে বলেন, পাহাড়ে সংঘঠিত প্রতিটি হত্যাকা- মুলত: আধিপত্য বিস্তার বা চাঁদাবাজির জন্য হয়ে থাকে। এছাড়া মাঠ দখলের জন্যও এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হত্যা করে থাকতে পারে। আর এসব ঘটনায় পুলিশের করার কিছুই থাকে না। কারণ নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কখনো কোনো অভিযোগ করা হয় না। এমনকি পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তারা কোনো তথ্য দিতে চান না। আর সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। তবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেন, এসব হত্যাকান্ড বা সংগাতের ফলে খাগড়াছড়ির সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র অবনতি হয়নি।
ছবি: আর্কাইভ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

3 Replies to “খাগড়াছড়িতে ৮ মাসে ১০ খুন : প্রতিনিয়ত ঘটছে অপহরণের ঘটনা : নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার”

  1. আধিপত্য বিস্তারে নিজেরা মরতেছে, মরুক। কিন্তু নিরীহ বাঙ্গালীরা কি অপরাধ করেছে? কেন বাঙ্গালীদের জীবন দিতে হচ্ছে?

    (সরকার, প্রশাসন, আইএলও, জাতিসংঘ, জেএসএস, ইউপিডিএফ ও জনতার নিকট প্রশ্ন)

  2. পৃথিবীতে নিজেদের দোষ কউ দেখেনা । চিরায়ত এমন কথাটি সাম্প্রতিক তাইন্দং সহিংসতার পরে একাধিকবার আমার মনে হয়েছে। কারন প্রতিদিন পাহাড়ের কোথাও না কোথাও ইউপিডিএফ-জেএসএস সহিংসতা, বাঙ্গালীদের কাছ থেকে তাদের চাদাবাজি, হত্যা, গুম ও অপহরনের ঘটনা ঘটলেও মানবাধিকার ভুলন্ঠিত হয়না। তাইন্দংয়ে অগ্নিসংযোগের সাজানো নাটক তৈরী করে এর দায় বাঙ্গালীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আওয়াজ তৃলেছে কতিপয় মোটা খামের বুদ্ধিজীবি।

    তারা কি উপরের ঘটনাগুলো দেখেননি বা শুনেননি। এঘটনাগুলোতে কি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি।

  3. পাহাড়ীদের পক্ষে যেসব নামধারী বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি ওকালতি করে তাদের বয়কট করুন ।
    পাহাড়ে তাদেরকে নিষিদ্ধ করুন এবং প্রতিহত করুন। তারা কি এ নিউজের ঘটনাগুলো জানেনা। না জানলে পড়তে বলুন । পাহাড়ের সত্য ঘটনা ও ইতিহাস জেনে ওকালতি করতে বলবো সেসব দালালদের যারা নারান খাইয়া ও গাইরিং এ থেকে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে । ধিক্কার জানাই তাদের…….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন