খাগড়াছড়ির জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়ক : সংস্কারের অভাবে ৮ বছরেও চালু হয়নি

23.10.2013_Jaliapara-Mahalchari ROAD News Pic-02

স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘদিনেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও রামগড় উপজেলার জালিয়াপাড়া আন্ত: সড়কে আট বছর ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ৩৩ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দেওয়ার কারনে পণ্য পরিবহন ও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া আর নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান সময়ও।

একসময় এ সড়ক দিয়ে ফেনী-ঢাকা ও চট্রগ্রাম সড়কে যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর যাবত সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবহেলিত এ সড়কটি মেরামতের অভাবে ২২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটাতেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ও ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে পুকুরসম গর্তের। দিনের পর দিন এভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কটির এখন নিজের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। তাছাড়া সড়কের বেইলি ব্রীজগুলোর অবস্থা আরো নাজুক। এছাড়াও সড়কের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের গায়ের বনজঙ্গল সড়কে নেমে দিন দিন সড়কটি প্রায় ঢেকে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মহালছড়ি উপজেলার প্রায় ৮০হাজার মানুষসহ ব্যবসায়ীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে সবধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে। যাত্রী ছাড়াও ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত দীর্ঘ ৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। এতে করে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও বৃহত্তর কাপ্তাই লেকের মাছ দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে সরবরাহ করতে দ্বিগুণ টাকা খরচ হচ্ছে। রাস্তার দুরত্বের কারণে কৃষিপণ্য ও মাছের মতো দ্রুত পচনশীল পণ্য সরবরাহে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। তাই ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুইনুপ্রু চৌধুরী জানান, এ সড়কের অভিভাবক কে এটা এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে সকলের কাছে। সড়কটি সংস্কার করে সচল করার জন্য বারবার বিভিন্ন মহলে ধর্না দিয়েও কোন কাজে আসেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ তাদের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও দাবী করেন তিনি।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন জানান, এই সড়কের দায়-দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবির। ১৯ ইসিবি ব্যাটালিয়ানটি দীঘিনালার দুর্গম এলাকায় হওয়ায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: নাজিম খাঁন জানান, ইতিপূর্বে আমরা নিজস্ব অর্থয়ানে জালিয়াপাড়া থেকে সিন্দুকছড়ি পর্যন্ত সড়কটি কয়েকবার মেরামত করেছি। আমার জানামতে সড়কটির উন্নয়নের জন্য ১৯ ইসিবি সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পত্র পাঠিয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সড়কটির মেরামতের কাজ শুরু হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক, সংস্কার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন