খাগড়াছড়ির দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দেলোয়ারের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক নির্যাতন ও ৩৫ সাংবাদিককে  হত্যার হুমকিসহ একাধিক মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালত আগামী রবিবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে হাজির করা হলে আদালত এ  রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।

বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলা শহরের কলেজ গেইট এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়ার দিদারুল আলম প্রকাশ কসাই দিদারের ছেলে।

খাগড়াছড়ি সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার আ’লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া তাকে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তালা ঝুলানো ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো পক্রিয়া চলছে।

এছাড়াও  ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বরে প্রথম আলোর আলোক চিত্র নীরব চৌধুরীকে অপহরণ করে মারধর ও তার প্রতিবাদে ২০ ডিসেম্বর  খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মানববন্ধনে হুমকি প্রদর্শন মামলার চার্জসীটভুক্ত  আসামি দেলোয়ার হোসেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান আরো জানান গত সোমবার(৩০ অক্টোবর) রাতে খাগড়াছড়ি পৌর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে পরের মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি’র  সমর্থকরা মিছিল বের করে।

একই সময় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে তার সমর্থকরাও মিছিল বের করে। আদালত সড়কের মাস্টারপাড়া এলাকায় মিছিলকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ২ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনার দিন রাতেই খাগড়াছড়ি পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ ৬৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন এ মামলার ১৪ নম্বর আসামি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন