খাগড়াছড়ি সদর জোন বিজয়ী বাইশ-এর ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

fec-image

খাগড়াছড়ি সদর জোন (বিজয়ী বাইশ) এর ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিনব্যাপী অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছ। এ উপলক্ষে সোমবার ২২ বীর কর্তৃক জোন কমান্ডারের বিশেষ দরবার, বিশেষ প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর জোন বিজয়ী বাইশ আয়োজিত প্রীতিভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কেফার্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাগন এবং জেলা প্রশাসন ও সকল সরকারি এবং বেসরকারি সংস্হার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বিজয়ী বাইশ খাগড়াছড়ি সদর জোনের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর হতে অত্র এলাকার আইন শৃংখলার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং দুস্কৃতিকারীরা অবাধে চলাফেরা ও যে কোন প্রকার অপকর্ম করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি এই ইউনিটের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বলেন, বিজয়ী বাইশ (২২ বীর) বাংলাদেশ সেনবাহিনীতে একটি সুশৃংখল ও আত্যপ্রত্যয়ী একটি ইউনিট। এই ইউনিট তার উপর অর্পিত সকল প্রকার দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম। এই ইউনিট প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আভিযানিক, প্রশিক্ষণ এবং খেলাধূলায় বেশ সফলতা অর্জন করেছে। আমি এই ইউনিটের সকল সদস্যের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।

খাগড়াছড়ি সদর জোন (বিজয়ী বাইশ) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, পিএসসি এর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিজয়ী বাইশ একটি সুশৃঙ্খল ও আত্যপ্রত্যয়ী ইউনিট। আমি এই ইউনিটের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োজিত হওয়ায় গর্বিত এবং আনন্দিত। অত্র ইউনিট বর্তমানে খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আভিযানিক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি বলেন, এই ইউনিট অত্র এলাকায় আভিযানিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ ও খেলাধূলায় সফলতা ও সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমি মহান স্বাধীনতা এবং সংবিধান রক্ষার আত্নপ্রত্যয়ে উজ্জীবিত ও আত্নত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত বিজয়ী বাইশ (২২ বীর) এর সকল সদস্যের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি এবং সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন