“গুইমারা উপজেলার আরভারি পাড়া এলাকার কসম্পা ত্রিপুরার মেয়ে দীপুরানী ত্রিপুরার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন আমির হোসেন। দীপুরানী গর্ববতী হয়ে গেলে গত ২২ মার্চ জোর করে গর্ভপাত করাতে চায় আমির হোসেন।”

গুইমারায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

fec-image

খাগড়াছড়ির গুইমারার আলোচিত ধর্ষণ ও পরে জোর করে গর্ভপাত করানো মামলার পলাতক আসামি আমির হোসেন (৩০)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গুইমারা থানার এস আই প্রতুল কুমার শীলের নেতৃতে পুলিশ সদস্যরা চট্রগ্রাম জেলার পাহাড়তলী এলাকার বনরুপা হাউজিং সোসাইটি থেকে গ্রেফতার করে তাকে। সে মাটিরাঙ্গা উপজেলার রসুলপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। গত তিন মাস যাবৎ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে।

প্রসঙ্গত, গুইমারা উপজেলার আরভারি পাড়া এলাকার কসম্পা ত্রিপুরার মেয়ে দীপুরানী ত্রিপুরার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন আমির হোসেন। দীপুরানী গর্ববতী হয়ে গেলে গত ২২ মার্চ জোর করে গর্ভপাত করাতে চায় আমির হোসেন। এনিয়ে ২৪ মার্চ দীপুরানী ত্রিপুরার পিতা বাদী হয়ে গুইমারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং ০২তারিখ-২৪-০৩-১৯।এর পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।

গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আমির হোসেনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গত তিনমাস বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছেন। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গতকাল রাত ১২টার দিকে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী এলাকার বনরুপা হাউজিং সোসাইটি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আজ খাগড়াছড়ি কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গুইমারায়, গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন