গুইমারায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি ও প্রাণহানীর আশঙ্কা

fec-image

টানা ৫ দিনের বর্ষণে উপজেলার গুইমার কলেজ রোডন্থ প্রজাটিলায় বেশ কিছু পরিবারের পাহাড় ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। বাড়ির পাহাড় ও সৃজিত বাগানের গাছ ধসে পড়ছে সড়কের উপর।

এনিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরুপাই হয়ে বসবাস করছেন তারা। এর মাঝে রয়েছে উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরার বাড়িও। পাহাড় ধসে মাটি সড়কের উপর পড়ায় স্থানীয়দের এবং কলেজ ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে দূর্ভোগ তৈরি হয়েছে। মুলত গুইমারা কলেজের রাস্তা তৈরিতে মাটি কাঁটার কারণে এ সংকটের তৈরি হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়িঘর রক্ষার দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলেন, মানুষের মেীলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা ও নিরাপত্তার রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। তাই তাদের বাড়িঘর রক্ষা করার দায়িত্ব ও সরকারকেই নিতে হবে। কলেজের জন্য রাস্তা তৈরি করতে মাটি কাঁটার কারণে বর্তমানে তাদের বাড়িঘর ধসে যাচ্ছে। মাটি কাঁটার সময়ে চারদিকে তৈরি রিটার্নিং ওয়াল তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিলো ,কাজ করা হয়নি। এ কাজে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃক অনেক বড় প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিপূর্ণ কাজ করা হয়নি।

তবে বুধবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল, গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং র্মামা।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, দ্রুত সময়ে এ সমস্যার নিরসন করা হবে। অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড় গুলো আরও ধসে পড়তে পারে তাই বসবাসকারীদের সরে নিরাপদ স্থান উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্র গুইমারা স্কুল বা পাশ্ববর্তী কলেজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের সচেতনতার লক্ষে মাইকিংও করা হয়েছে সকলকে পাহাড় ধসের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

এবিষয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা বলেন, প্রতিসূতি অনুযায়ী রিটার্নিং ওয়াল তৈরি করা হলে এখন এ সংকট তৈরি হতনা।

অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বলেন, রিটার্নিং ওয়াল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে হাইডে একটু কম হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে আশা করি দ্রুত এর নিরসন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গুইমারায়, পাহাড় ধসের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন