গুইমারা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল: সরগরম উপজেলা

fec-image

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ কাউন্সিলকে ঘিরে উপজেলার সর্বত্র এখন বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে । এবার নেতাকর্মীদের দাবি গনতন্ত্র বজায় রেখে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। এ জন্য আহবায়ক কমিটির স্বচ্ছ ব্যালট ও গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে পুরো উপজেলায় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর আলোচনা।

নেতাদের অতীত কর্মকান্ডের মূল্যায়ন নিয়ে ঝড় তুলছে চায়ের দোকানে । সবমিলিয়ে বেশ জমে উঠেছে এবারের গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন।

উপজেলা কমিটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক পদ প্রত্যাশী প্রার্থী থাকায় একদিকে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান যেমন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণা আর নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টায় সরগরম হয়ে পড়েছে উপজেলার রাজনৈতিক ময়দান। আয়োজক কমিটি জানান, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দী করছেন ৩ জন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন, সাংগঠনিক পদে রয়েছেন ৩ জন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যে সব নেতা কর্মীদের খোঁজ নেওয়ার সময়ই হতনা এখন হয়েছে তার ব্যতিক্রম। কাউন্সিলকে ঘিরে দলের কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের কদর বর্তমানে আকাশচুম্বী। প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উক্ত ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল বা কমিটি গঠনের নির্বাচনে সভাপতি পদে ত্রি-মুখী ও সাধারণ সম্পাদক পদে চৌ-মূখী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ত্রি মুখী নির্বাচনী লড়াই দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মী, ভোটরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কর্মী বান্ধব ও তাদের আস্থাভাজন নেতাকে নির্ণয় করতে চেষ্টা করছেন। যাদের দলীয় কর্মকান্ডে সবসময় পাওয়া যাবেনা, শুধু টাকা কামানোর জন্য নেতা হতে চায় তাদের বিষয়ে তারা সচেতন রয়েছেন। তারা বলেন, অতীতে বিনা বাক্যে বিশেষ আর্শীবাদ নিয়ে অনেকে নেতা বনে গেছেন। এমন ভুল আর হতে দেওয়া হবেনা।

তবে কাউন্সিলকে ঘিরে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে সভাপতি পদ নিয়ে। বর্তমান সভাপতি জাহাঙ্গির আলম দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর না রাখায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাদের দাবি বিনা বাক্যে ও বিশেষ বিবেচনায় র্দীঘদিন সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের নেতাকর্মীদের দু:সময়ে পাশে দাড়াননি। নিজের জন্যই সব করেছেন তিনি।

অপরদিকে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা উপজেলার রাজনীতিতে নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রাণ ভোমরা হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। দলের কর্মী, সমর্থক, ভোটার কাউন্সিলর ছাড়াও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন সাধারণ জনগণ ও তার অন্ধ ভক্ত বা সমর্থক হয়ে পড়েছেন। যার প্রমাণ বিগত দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের মাধ্যমে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীরা তাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়ে ব্যানার ফেষ্টুনও লাগিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল, সম্মেলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন