গ্রেফতারের ৫ দিন পরও আদালতে হাজির করেনি বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতাকে

Bandarban 2

মো: কামরান ফারুক:
বান্দরবানে রবিবার সদর থানার এএসআই আতাউর রহমান কর্তৃক বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা গিয়াসকে বেধড়ক মারধর ও থানায় আটকে রেখে দিন ও রাতভর নাটকিয়তার পর মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবানের একজন সিনিয়র আইনজীবি এ প্রসঙ্গে জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের বিধান ও ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আটকের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও তাকে আদালতের (নিকটস্থ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট) নিকট হাজির করা এবং আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এএসআই আতাউর রহমানের বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত অবস্থায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করছে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা গিয়াস উদ্দিন। গিয়াস উদ্দিনের বড় ভাই আব্বাস উদ্দিন ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতারা জানান, গত রবিবার সকালে সদর থানা পুলিশের এএসআই আতাউর রহমান শহরের বালাঘাটা আইডিয়াল স্কুলের সামনে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে রোয়াংছড়ি সড়কের নির্জন এলাকায় বন্দুকের বাট এবং বুট জুতা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা তার হাতে কয়েকটি সেলাই করেছে এবং পায়ের ও বুকের এক্সরে রিপোর্টটি এখনো পর্যন্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে গিয়াস উদ্দিনের সাথে কাউকে দেখা ও কথা বলতে দিচ্ছে না পুলিশ। স্থানীয় সাংবাদিককেরা ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছবি ও রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে পুলিশ বাধা দেয়।

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ গিয়াস উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়েরকরা হয়েছে। উক্ত মামলাটি আদালতে পাঠালেও গিয়াস উদ্দিনকে হাজির করেনি। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত গিয়াস উদ্দীন বান্দরবান সদর হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় ৩নং বেডে শায়িত আছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন