চকরিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনে দ্বায়ে যুবকের ২ বছরের কারাদণ্ড

চকরিয়া প্রতিনিধি:

উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় খুটাখালীতে বালু বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় রাশেদুল ইসলাম মিন্টু (৩৫) নামে এক যুবককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

এসময় বালু বহণের কাজে নিয়োজিত ৬টি ট্রাক জব্দ করে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, ১৪২৩ বাংলা সনের জন্য সরকারের কাছ থেকে খুটাখালী ছড়াখালের বালু মহাল ৮০ লাখ টাকার বিনিময়ে একসনা ইজারা নিয়ে বালু বিক্রি করে মিন্টু। পরে অপর একটি পক্ষ একই খাল থেকে বালু উত্তোলন করলে খাল ও আবাদি জমির ভাঙ্গণসহ পরিবেশের ক্ষতি হবে জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বালু মহাল ইজারা না দিতে নির্দেশনা জারি করেন। সেই নির্দেশনার একটি কপি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। এতেই বন্ধ থাকে বালু মহাল ইজারা।

তিনি আরও বলেন, ইজারা বন্ধ থাকলেও রাশেদুল ইসলাম মিন্টু মেশিন বসিয়ে ও শ্রমিক দিয়ে ১৪২৪ ও চলতি ২০২৫ বাংলা সনেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে খালসহ আবাদি জমি ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি বালুর বিপরীতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু বাণিজ্যের সাথে জড়িত রাশেদুল ইসলাম মিন্টুকে আটক করে ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ট্রাক জব্দ করা হয়। ট্রাকগুলো মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং আটক মিন্টুকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাথে ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান রাজিবের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পরিবেশ কর্মী ও চকরিয়া থানার এসআই মাজহারের নেতৃত্বে সংঙ্গীয় পুলিশ টীম।