চকরিয়ায় এক দিনমজুর পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

 

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কোরালখালী নজুবাপের পাড়া এলাকায় এক দিনমজুর পরিবারকে একের পর এক থানা ও আদালতে এক অসাধু মহিলা কতৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

ওই মহিলা ইতিপূর্বেও এলাকার বিভিন্ন পেশার একাধিক ব্যক্তিকে নানা ভাবে মিথ্যা হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদন্তপূর্বক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নজুবাপের পাড়া এলাকায় সম্প্রতি মৃত নুরুল আমিনের স্ত্রী তছলিমা বেগমের বসতঘরে দিনদুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা নিয়ে নজুবাপের পাড়া এলাকায় বেশ কিছু ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় ভাবে সালিশ বিচারও করা হয়।

এতে ঘটনার বিষয়ে এলাকার সালিশী বৈঠকে একই এলাকার ছানাউল্লাহ, সবুজ ও সাঈদকে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগ এনে স্থানীয় সালিশকারগণ অভিযুক্ত তিনজনের কাছ থেকে ১৫হাজার টাকা বৈঠকের মাধ্যমে জরিমান আদায় করে দেন নুরুল আমিনের স্ত্রী তছলিমাকে।

পরে কিছু দিন যেতে না যেতেই তছলিমা স্থানীয় কিছু কুচক্রী ব্যক্তির প্ররোচনায় এলাকার এক দিনমজুর পরিবারের ছেলে, স্ত্রীসহ ছয় ব্যক্তিকে একই অভিযোগ এনে তার বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে জড়িত রয়েছে দাবি করে চকরিয়া থানায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ও ১মার্চ চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে।

বর্তমানে তছলিমা চকরিয়া থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও এ পর্যন্ত কোন বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে উল্টো অভিযুক্ত একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র আবদু ছত্তার, তার পুত্র নাজেম উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, আবদু ছত্তারের স্ত্রী পারভীন আকতারকে নানা ধরণের হুমকিসহ বিভিন্ন হয়রানি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবদু ছত্তার।

তবে ঘটনার বিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নুরুল আমিনের স্ত্রী তছলিমা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নানান মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুলত ছত্তারের পরিবারকে বাণিজ্যিক ভাবে হয়রানি করার কুমানসে আদালতে ও থানায় মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেই বলে এলাকাবাসী জানান।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন