চকরিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া (৯) বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত আটটার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিত শিশুটি স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। উলুবনিয়া এলাকার এক যুবকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। আক্রান্ত শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক লম্পট পালিয়ে যাওয়ায় তাকে চিহ্নিত করা যায়নি।

পরে আক্রান্ত শিশুকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে তাৎক্ষনিক জেলা সদর হাসপাতালে ওসিসি’তে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আক্রান্ত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আক্রান্ত শিশুর চাচা জানান, শনিবার রাত ৮টার টার দিকে বাড়িতে রান্না করার জন্য তার দাদী উলুবনিয়া ষ্টেশনের উপরের দোকানে চনার ডালের জন্য শিশুটিকে পাঠান। রাস্তায় রাতের আঁধারে দোকানে যাওয়ার পথে তার পথ গতিরোধ করে স্থানীয় এক যুবক শিশুটির মূখ চেপে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে রাস্তার পথচারীরা শিশুকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে আঁধারের মধ্যে ধর্ষক লম্পট পালিয়ে যায়। শিশুটির কান্নার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি ঘটনার বর্ণনা দেয়। এ সময় তার পুরো শরীর ভালো করে দেখলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এমনকি তাঁর ছোট্ট ভাতিজির মেয়েটিকে রক্তাক্ত করা হয়। পরে এ ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেন আক্রান্ত শিশুর চাচা।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই শিশু মেয়েকে প্রথমে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রেরণ করেন।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন সোনা মিয়া বলেন, আক্রান্ত শিশুকে বাড়ির বাজারের জন্য রাতে স্থানীয় দোকানে পাঠায় তার পরিবার। ষ্টেশনে যাওয়ার পথে রাস্তায় রাতের আঁধারে নির্জন স্থানে নিয়ে শিশুটিকে কে বা কারা ধর্ষণ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ধর্ষক লম্পটকে এখনো সনাক্ত করা যায়নি।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত একে.এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি শুনার পরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনায় এখনো কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চালছে। ডাক্তারের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তারা যেকোনো সময় থানায় অভিযোগ দেবে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন