চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন রোধে বসানো হচ্ছে ৫ কোটি টাকার আরসিসি ব্লক

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সম্প্রতি সময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীর দু’পাড়ে বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য আবাদি জমিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলার মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পাঁচ কোটি ২৩ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মুন্সিঘোনা এলাকায় নদীর তীরে আরসিসি ব্লক স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। কাজ শেষ হলে বন্যা থেকে মুক্ত হবে প্রায় লক্ষাধিক জনসাধারণ।

কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বন এবং পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বরইতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার, এমপির সহকারী মো. নাজিম উদ্দিনসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং পাউবোর কর্মকর্তা ও এলাকার সুধীজন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, মাতামুহুরী নদীটি আমাদের জন্য একদিকে আর্শীবাদ, অপরদিকে অভিশাপ। কৃষকরা নদীর মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিয়ে প্রতিবছর চাষাবাদ করছে। আবার বর্ষাকালে নদীতে পাহাড়ি ঢল নামলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে জনগণের সবকিছু তছনছ হচ্ছে। তাই নদীর ভাঙ্গন রোধে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে চকরিয়াবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারে। তিনি বলেন, বরইতলী ইউনিয়নে শুরু করা আরসিসি ব্লক স্থাপনের কাজটি শেষ হলে উপজেলার বরইতলী, কৈয়ারবিল ও হারবাং ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ বন্যার কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। কাজের শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, প্রতিবছর বর্ষাকালে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামলে বরইতলী ইউনিয়নের নদীর তীর এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শুরু হয়। এ অবস্থার উত্তোরনে পাউবোর পক্ষ থেকে বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার মুন্সিঘোনা পয়েন্টে নদীর তীরে চারশত মিটার এলাকায় আরসিসি ব্লক স্থাপনে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিই।

তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছের সুপারিশ ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদারের কার্যাদেশ চুড়ান্ত করে প্রায় ৫ কোটি ২৩ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পের কাজ  আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন