Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চকরিয়ায় যাতায়াতে দেড়লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ

 

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ কয়েকদফা বন্যায় ও বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার জনতা মার্কেট-বেতুয়া বাজার-বাঘগুজারা সড়ক ভেঙে হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে বিগত ৫বছর ধরে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল ও যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। জনতা মার্কেট-বেতুয়া বাজার-বাঘগুজারা সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার।

চলতি বছরে সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যার কারণে সড়কের অন্তত ৪০টি মতো স্থানে ভেঙে গেছে। বিভিন্ন ভাঙ্গন ও খানা খন্দকের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকটা যান চলাচল। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চকরিয়া পৌরসভা, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা ও কোনাখালী ইউনিয়নের অন্তত দেড় লক্ষাধিক জনসাধারণ।  সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় সড়কের পুরাতন ভাঙ্গনগুলি  আবারও নতুন করে ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।  বৃষ্টি হলেই গাড়ি ব্যতিত হেঁটে চলাচল করাও কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।

চকরিয়াস্থ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, জনতা মার্কেট-বেতুয়াবাজার-বাগগুজারা সড়কটি হচ্ছে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ সড়ক বন্যার পূর্বে পুরোটাই পিচ ঢালাই ছিল। গেল ২০১২ ও ১৫ সালের কয়েকদফা বন্যায় বেশ কিছু স্থানে ভেঙে যাওয়ার পর ইটের খোয়া দিয়ে মেরামত করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের চলতি বছরে দুই দফা বন্যায় পুরো সড়কটির ৪০টির মতো স্থানে ভেঙে গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার চকরিয়া-পেকুয়া ও উপকুলীয় এলাকার তিনটি ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক হচ্ছে  চিরিংগা জনতা মার্কেট-বিএমচর বেতুয়া বাজার-বাগগুজারা সড়ক। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ১০-১২ হাজার লোক যাতায়াত করে। চকরিয়া পৌরশহর থেকে বাগগুজারা ব্রিজ পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ১১কিলোমিটার। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নিয়োগকৃত ঠিকাদার চলতি বছরে আট কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে কোনমতে প্রায় এক কি.মি রাস্তা সংস্কার করেন। রাস্তার বাকী অংশটুকু কাজ না করার ফলে যাতায়াতের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।

প্রতিদিন কম করে হলেও প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে। কিন্তু সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মাঝে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। দীর্ঘ ৫বছর ধরে সড়কের বড় ধরণের কোন সংস্কার কাজ না করায় দিন দিন সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে বেহালদশায় পরিণত হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দ্রুত সময়ে সংস্কার করতে সচেতনমহল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালক আবদু রহিম বলেন, চিরিংগা জনতা মার্কেট থেকে বিএমচর ইউনিয়নের স্কুল স্টেশন পর্যন্ত কোন রখম যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এর পরের অংশে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়না। বিএমচর ইউনিয়নের পশ্চিমে কোনাখালী ইউনিয়নে সড়কে বড় বড় গর্তের জন্য ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায়না। ওই ইউনিয়নের বর্তমানে লোকজন পায়ে হেঁটেই চলাচল করছে।

এ বিষয়ে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিএমচর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার জনগোষ্ঠীর যাতায়াতে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে চিরিংগা জনতামার্কেট-বেতুয়াবাজার সড়ক। সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় এ সড়কটি নানা স্থানে ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ভেঙে যাওয়ার পর থেকে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। সড়ক মেরামতের বিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হাজ্বী মো. ইলিয়াছ এমপি এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার সাথে বেশ কয়েকদফা যোগাযোগ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি সংস্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে চকরিয়াস্থ সড়ক ও জনপথ(সওজ)বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু এহেছান মো. আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনতা মার্কেট-বেতুয়া বাজার-বাঘগুজারা সড়ক ৯কিলোমিটার মতো বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পরবর্তী সময়ে সড়কে ভাঙ্গন সমুহ প্রাথমিক ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরম্ভ করা হবে বলে তিনি জানান।

জনতামার্কেট-বেতুয়া বাজার-বাগগুজারা সড়ক সংস্কার ব্যাপারে কক্সবাজারের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি পার্বত্যনিউজকে বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য ৪৪লক্ষ টাকা টেন্ডার অনুমোদন হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দ্রুত সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন