Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

‘চোখের সামনে ওরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে’

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

‘আমার চোখের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে ১৮ বছরের মেয়েকে। আমি কিছুই করতে পারিনি। শুধু প্রচণ্ড কষ্ট আর অপমানে ছটফট করেছি।’ ৪০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা পিতা এভাবেই বর্ণনা করলেন রোহিঙ্গা নারীদের ওপর মিয়ানমারের সেনাদের নির্মম বর্বরতার কথা। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাম্নায় ভেঙে পড়েন তিনি বলেন, ‘মানুষ কখনও মানুষের ওপর এমন নির্যাতন চালাতে পারে, কল্পনাও করতে পারিনি।’

তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার শরীর কাঁপছিল লজ্জা আর অপমানে। এনডিটিভি প্রতিনিধি বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাদের যখন বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন উপস্থিত সবার চোখ ভরে ওঠে জলে। এ কেমন নির্মমতাঙ্ঘ মানুষ কি এমন বর্বরতা চালাতে পারে? এমন অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে সব ঘটনা দৃশ্যপটে আসছে না। এটি এখন রাখাইন রাজ্যের নিত্যদিনের ঘটনা।

রয়টার্স, এএফপিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে রোহিঙ্গা নারীদের ওপর বর্বর নির্যাতনের আরও কাহিনী। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, সুন্দরী নারীদের খুঁজে বের করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দোসর মগরা। প্রথমে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেনাবাহিনীর কাছে। সেনা সদস্যরা তাদের প্রথমে ধর্ষণ করে। তার পর তুলে দেওয়া হয় মগদের হাতে। ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় তাদের। কাউকে কাউকে জঙ্গলে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনা ক্যাম্পে।

তারা আরও জানিয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘরের অবশিষ্ট থাকা দুই-একটি বাড়িতে অনেক ধর্ষিত নারীকে আটকে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নারীদের আটকে রাখার জন্য অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে। সেখানে চলছে দমন, নিপীড়ন-নির্যাতন। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা দ্রুত রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি না পেলে এসব নির্যাতিত নারীকে বাঁচানো যাবে না বলে মনে করছেন প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা রোহিঙ্গারা।

টেকনাফের কয়েকটি প্রবেশপথে এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় রোহিঙ্গাদের। এর মধ্যে ওসমান ও আবু ইউসুফ নামে দুই ব্যক্তি জানান, রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে সুন্দরী কেউ থাকলে তাকে পালাতেও দিচ্ছে না মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও মগরা। সেনাদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করার মতো কেউ নেই। বন-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা অনেকেই এসব দেখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন। হিংস্র সেনাবাহিনী ও মগদের সামনে কারও কিছু করার নেই।

ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেন আরও ৬ রোহিঙ্গা নারী। তাদের মধ্যে দু’জন কিশোরী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও মগদের চালানো নির্মম যৌন নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে তাদের বর্ণনায়।

সূত্র: সমকাল

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন