জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান

fec-image

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকা ০৫ নং পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফু উদ্দিন চৌধুরী ফেসবুকে চোখে পানি ঝরানো স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁর অত্র ইউনিয়নবাসীর কাছে। পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

“সম্মানিত পালংখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ আসসালামুআলাইকুম
আজ অতি দুঃখ ও মনে ব্যথা নিয়ে এই পত্র লিখতে বাধ্য হলাম।কারন দীর্ঘ ২২ মাস যাবৎ আমি আপনাদের থেকে দূরে। আমার মনে হয় অনেক দূরে সরে আছি।তার মুল মানে হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা।বিগত ২০১৭ ইংরেজী সনের ২৫শে আগস্ট হতে দলে দলে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা পালংখালী ইউনিয়নে প্রবেশ করে স্হানিয় জন সাধারণের অংশীদারিত্ব সবুজ বনায়নের মুল্যবান ফলজ, বনজ ও কৃষি জমি এমনকি রোপন কৃত ধান ক্ষেতে অস্হায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করাতে বিদেশী সংস্হা আই NGO,দেশী সংস্হা NGO এবং সরকারী বিভিন্ন বিভাগের প্রতি নিয়ত মিটিং সমাবেশ সহ প্রয়োজনীয় কাজের কারনে জনগণ হতে দূরে সরে যাচ্ছি।

আজ রোহিঙ্গা সমস্যার কারনে জনগণ আমাকে খুঁজে পাচ্ছেনা জনগনের জরুরী প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিতে হলে আমার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে।এর চাইতে দুঃখ জনক আর কি হতে পারে।আমার অবর্তমানে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নার্সারি হলেও বর্তমানে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছি। রোহিঙ্গা সেবা দিতে আসা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সেনা বাহিনী অত্র ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন যাবৎ অবস্থান করাতে ছোট খাটো বিচার করা থেকে ও বিরত থাকতে হচ্ছে।বলা বাহুল্য এভাবে ইউনিয়ন পরিষদের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর মাসের পর মাস বৎসরের পর বছর বন্ধ রাখা বড় দুঃখজনক ও লজ্জা জনক। কি করব উপায় নাই প্রতি নিয়ত প্রায় সময় সরকারী বড় বড় কর্তাদের নিকট হাজার বার আবেদন করার পর ও কোন সমাধান হচ্ছেনা।

এ জন্য আমি পালংখালী ইউনিয়নের সকল সর্বস্তরের জন সাধারণের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন আর দোয়া করবেন আমি যাতে চিরদিন আপনাদের খাদেম হিসাবে আপনাদের খেদমত করে চিরনিশ্বাস ত্যাগ করতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এম. গফু উদ্দিন চৌধুরী, পালংখালী, পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন