জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট: সাড়া ফেলেছে ‘রাজ কুমার’

fec-image

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। বাজারে যেমন পশু আসছে তেমনি বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনাও।

এবারের হাটে আসছে নানা রঙের ছোট-বড় গরু-মহিষ, ভেড়া ও ছাগল। ইতিমধ্যে দেশীয় গরুর সাথে পাল্লা দিয়ে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে মিয়ানমারের গরু। পাশাপাশি বাজারে উঠছে পাহাড়িতম গরু। ফলে কোরবানি পশুর হাটে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশুর দাম স্বাভাবিক হবে মনে করছেন ক্রেতারা।

উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ২৫টিরও বেশি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এছাড়াও পৌরসভার বাসটার্মিনাল, ঘনশ্যামবাজার, সাহারবিল পরিষদ বাজার, বদরখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, হারবাং, লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার, মানিকপুর, ফাঁসিয়াখালী, বেতুয়া বাজার, কোনাখালী, ভেন্ডীবাজার, বরইতলী গরুবাজারসহ অন্তত ২৫টির বেশি কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। প্রতিবারের মতো এবারও উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে ইলিশিয়া জমিলা বেগম স্কুল মাঠে।

জানা গেছে, চকরিয়ায় কোরবানির পশুর হাট ইলিশিয়া বাজার জমে উঠার আগেই পুরো এলাকা জুড়ে সাড়া ফেলেছে ‘রাজ কুমার’। নামটি শুনার পর পরই এলাকার সাধারণ লোকজন ও ক্রেতারা বিশাল আকৃতির এ রাজ কুমার (ষাঁড়) দেখতে ভিড় করছে। কোরবানির পশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে দাড়িয়েছে রাজ কুমার ষাঁড়।

উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশ কাটাস্থ কৃষক বাদলের ডেইরি ফার্মে বেড়ে উঠা ষাঁড়ের নাম রাজ কুমার। নাম তার যেমন রাজ কুমার। খাবার দাবারের তালিকাও রাজার মতোই। কোরবানি ঈদে এ রাজ কুমার ষাঁড়টি দাম হাকিয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এ ষাঁড়ের ওজন এক টনের অধিক। এবার কোরবানির পশুর হাটে রাজ কুমার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন গরুর মালিক ও খামারী বাদল।

দরবেশ কাটা এলাকায় বড় এই গরুটি দেখতে প্রতিদিন বাদলের ডেইরি ফার্মে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। পরম যত্নে গরুর মালিক বাদল ও তার কর্মচারীরা মিলে গত দুই বছর ধরে লালন-পালন করেন ষাঁড়টি। শখ করে ষাড়টির নাম রেখেছিল ‘রাজ কুমার’। রাজ কুমার খুব শান্ত সৃষ্ট প্রকৃতির, কাউকে কোনও বিরক্ত করে না। এবার কোরবানির ঈদের জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

বড় এ ষাঁড়টির মালিক বাদল জানায়, রাজ কুমার শুধু নামে নয়, তার খাবার-দাবারও সাধারণ পশুর চেয়ে আলাদা। খড়, ভূষি ছাড়াও তাকে খাওয়ানো হয় আপেল, কমলা, মাল্টা, চিড়া, গুড়সহ নানা রকমের খাবার। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন রাজ কুমারের পেছনে খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। রাজ কুমার গরম সহ্য করতে পারে না। যেখানে তাকে রাখা হয় সেখানে তিনটি ফ্যান চলে। কোরবানি পশুর হাটে প্রথম বারের মতো তাকে বাজারে উঠানো হচ্ছে। এ কোরবানির সময় ভালো দাম পেলেই তাকে বিক্রি করতে পারলেই লালন-পালনের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন