পেকুয়ায় ভিসা জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে মামলা


পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় ভিসা জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩ মে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী ৪০৪ এর আওতায় ৪২০ ও ৫০৬ এর দন্ডবিধি ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।
আদালতসূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি কইড়ার পাড়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র রুবেল বাদী হয়ে ভিসা জালিয়াতি চক্রের প্রধান একই এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের পুত্র তৈয়ব আজিজ প্রকাশ তৈয়বের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, বাদী একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। পারিবারিক অভাব অনটনের তাড়নায় বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করলে এলাকার মুখোশধারী ভদ্রলোক বেশে তার সরলতার সূযোগ নিয়ে নিজস্ব এজেন্সির মালিক বনে গিয়ে তাকে সর্বমোট সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণপূর্বক নন-জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্প পেপারে গত ১৩ জানুযারী ২০১৭ তারিখে একটি কাতারের ভিসা বিক্রয় করে। ভিসা বিক্রয় করার কিছু দিন পর বাদী মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ভেরিফাই, বৈধ বিমান টিকেট নিয়ে কাতারে চলে যায়। কাতারের আলগ্রাপা স্থানে পৌঁছানোর পর ভিসা জালিয়াতি চক্রের সদস্য চন্দনাইশ এলাকার আবুল কালাম তাকে গ্রহণ করেন। পরে তাকে গাড়ীতে করে অন্য একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে। চন্দনাইশ এলাকার আবুল কালাম তাকে বলেন, তোমার হাতে কাতার সরকারের প্রসেসিং এর মাধ্যমে ‘একামা’ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতে পারবে না। তত দিন আমাদের সাথে থাকতে হবে এবং রুম থেকে বের হয়ে কোথায়ও যাওয়া যাবে না। যদি তোমার ইচ্ছে অনুযায়ী বাহির হয়ে যাও তাহলে কাতার পুলিশ তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে। এতে তার মনে ভয়ের সৃষ্টি হয়। একামা দিবে দিবে বলে আশা দিয়ে আনুমানিক ৮ মাস পর্যন্ত বন্দী করে রাখে। এতে অনাহারে অর্ধহারে জীবন কাটে বাদীর। বাদীকে বন্দী রেখে আবুল কালাম পালিয়ে যায়। পরে এক বাংলাদেশী প্রবাসী তাকে উদ্ধার করে বাহিরে ছেড়ে দেয়, কিন্তু কাতার পুলিশ তার কাছে একামা না থাকায় তাকে আটক করে। পরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে ভিসা জালিয়াতি কারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নিদের্শ প্রদান করেন।

ইতিপূর্বে ওই চক্র অনেক পরিবারকে ভিসার নামে পথে বসিয়েছে বলেও জানা যায়। ভুক্তভোগী পরিবার এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন