জেএসসিতে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষে

এম. জুবাইদ, পেকুয়া : সদ্য প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত তথ্যে নিয়ে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে বিরোধীদলের অবরোধ ও হরতালের কারণে ২২ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হয়।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মাথায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়। ফলাফলে দেখা যায় পেকুয়া উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে এ প্লাস প্রাপ্ত সংখ্যায় পেকুয়া উপজেলা প্রাচীন বিদ্যাপিঠ পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন শীর্ষে রয়েছে।

জিএমসি ইনস্টিটিউশন থেকে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এর মধ্যে ৩৩ জন এ প্লাস ও অন্যান্য গ্রেড সহ ২২৬ জন পাস করে। পাসের হার ৮৬.২৬%।

পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ৩ জন এ প্লাস সহ ৮৬ জন পাস করে। পাসের হার ৭৩.৫০%। শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ১৯ জন এ প্লাস সহ ২০০ জন পাস করে। পাসের হার ৮৪.০৩%। রাজাখালী ফৈয়জুনেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস ২০ জন সহ ৬৯ জন পাস করে। পাসের হার ৯৫.৮৩%। মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস ১ জন সহ ৫০ জন পাস করে। পাসের হার ৭১.৪৩%। বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ৬১ জন পাস করে। পাসের হার ৭০.৯৩%। বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস এক জন সহ ১০৯ জন পাস করে, পাসের হার ৭৭.৮৬%। রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস ৪ জন ৪৮ জন পাস করে পাসের হার ৮৮.৮৯%, মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস এক জন সহ ৯৬ জন পাস করে, পাসের হার ৮২.৭৬%। টইটং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস ৪ জন সহ ৮৬ জন পাস করে পাসের হার ৮৪.৩১%। আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস ৪ জন সহ ৬৪ জন পাস করে, পাসের হার ৯৪%। পেকুয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ২ জন এপ্লাস সহ ২৬ জন পাস করে, পাসের হার ৯৩%। ফাশিয়াখালী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ৯ জন এ প্লাস সহ পাস করে ২৯ জন, পাসের হার ৯৮%। মেহেরনামা আলমাছিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৮৬ জন এর মধ্যে ৫ জন এ প্লাস সহ ৮০ জন পাস করে পাসের হার ৯৩%, উজানটিয়া এ এস সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ১২ জন এ প্লাস সহ ৪০জন, পাসের হার ৯৫%। মগনামা শাহ রশিদিয়া মাদ্রাসা থেকে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে ৭ জন এ প্লাস সহ পাসের হার ৯৪%। মৌলভীবাজার ফারুকীয়া মাদ্রাসা থেকে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে এ প্লাস একজন সহ ৫৭ জন পাসের হার শতভাগ।

পাসের হারের দিকে ফৈয়জুনেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয় ৯৫.৮৩% আর এ প্লাসের দিকে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন শীর্ষ অবস্থান অর্জন করছে।

এদিকে জেডিসির ফলাফলে উজানটিয়া এ এস সিনিয়র মাদ্রাসা এ প্লাসের সংখ্যায় উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। আর পাসের হারের দিকে মৌলভীবাজার ফারুকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শতভাগ।

পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ৮৬ জন এ প্লাস সহ পাসের হার দেখা যায় ৮২.০২%।

এ ব্যাপারে পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত এনামুল হক চৌধূরী জানান, ‘আমার স্কুলের ৩৩ জন ছাত্র ছাত্রী এ প্লাস পাওয়ার পেছনে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রমই অবদান রেখেছে বলে আমি মনে করি’। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে আরো ভাল ফলাফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেএসসি, জেডিসি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন