টেকনাফের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার, জড়িতরা আটক- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

DSC_0169 copy

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার এবং হামলার মূল হোতাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অভিযান সম্পন্ন করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

বুধবার দুপুরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের গহীন অরণ্যে ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা বলেন।

এ সময় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ঘটনার অন্যতম হোতা ও আনসার ক্যাম্প কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে হত্যাকারী রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমকে আটক করেছে র‌্যাব ৭। এরপর তাকে নিয়ে বান্দরবানের গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে আনসার ক্যাম্পের লুট হওয়া অস্ত্রের বাকি ৬টি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার পশ্চিমকুল গহীন পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারের স্থানে প্রেসব্রিফিংএ উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান।

২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে গভীর রাতে রোহিঙ্গা ডাকাতরা/সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। এতে আনসার কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তারা। রোহিঙ্গারা ব্যারাক থেকে ১১টি অস্ত্র ও ৬৪০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়। বেশকিছু অস্ত্র বান্দরবান জেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার গহীন অরণ্যে পাহাড়ের খাদে গর্ত করে পুতে/লুকিয়ে রেখেছিল। আর কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিল ঘটনায় জড়িতরা।

এঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো। উদ্ধার করা হলো লুটকৃত সবক’টি অস্ত্র।

ঘটনার পর পরই ২০১৬ সালের জুন মাসে রফিক ডাকাতসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৭মাস পর গত ৯ জানুয়ারি রাতে ঘটনার অন্যতম ২ হোতা খাইরুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের স্বীকারোক্তি মতে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে আরও ১জনকে গ্রেফতার করে এবং লুট হওয়া ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

অভিযানের পর গত ১০ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন অরণ্যে অস্ত্র উদ্ধারস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ। ওই সময় তিনি বাকি ৬টি অস্ত্র উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘোষণার পর মঙ্গলবার ঘটনার অন্যতম হোতা ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আর তাকে নিয়ে বান্দরবানের গহীন অরণ্যে রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অবশিষ্ট ৬টি অস্ত্রও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

এ অভিযানের মধ্য দিয়ে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া সবক’টি অস্ত্র উদ্ধার হল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন