টেকনাফে ইয়াবার তথ্যদাতা সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

হত্যা

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফে প্রশাসনের ইয়াবার তথ্যদাতা সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সকালে সাবরাং হারিয়াখালীর সোনা মিয়ার স্ত্রী ও নিহত মো. হোসেনের মাতা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে ১৩ জনকে এজাহার নামীয় ও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিরা হচ্ছেন, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীর মৃত আবদুর রশিদ ওরফে কাদুরার ছেলে জাকির ওরফে জাগির (৩২),শাহজাহান (৩৫), জিয়াবুল (২৮), আজিজ উল্লাহ ওরফে আয়াত উল্লাহ (২৫), এরশাদ উল্লাহর ছেলে আলী মাঝি(৪০), ইউছুপ মাঝির ছেলে ওরফে বাইল্ল্যা(২৫), কবির আহমদ ওরফে কবির বলির ছেলে শামসুল আলম (৩০), মনজুর আলম (১৮), আলী আকবরের ছেলে নুরুল হক (২৬), মো. কাদেরের ছেলে হাফেজ উল্লাহ(২৫), অজ্ঞাত ইউছুপ মাঝি (৪০), আমির হোছনের ছেলে জিয়ারু (৩২), মৃত হাশেমের ছেলে শামসুল আলমসহ (৩০) ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

ফলোআপ

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ভোর রাতে শাহপরীর দ্বীপ সাগরে কোস্টগার্ড টহলকালে সন্দেহজনক ভাবে একটি ট্রলারকে থামানোর সংকেত দেয়। কিন্তু ট্রলারটি না থামিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় ট্রলারটিকে ধাওয়া করলে পশ্চিমপাড়া ঘাট এলাকায় উঠিয়ে দিয়ে ট্রলারের লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও কারেন্ট জালসহ ট্রলার জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ট্রলারের মালিক ওই এলাকার আব্দুর রশিদ কাদুরার ছেলে জাকের হোসেন ট্রলারের মাঝি মো. হোসেনকে ডেকে নিয়ে কোস্টগার্ডকে তথ্য দিয়ে ইয়াবা ও ট্রলার আটক করানোর অজুহাতে আটকে রেখে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে শনিবার সে মারা যায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে নিহত মাঝির লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, নিহতের লাশের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে হত্যাকারিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন