টেকনাফে কবর থেকে স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উত্তোলন
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
টেকনাফে হ্নীলা হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমিক কর্তৃক অপহরণ ও ধর্ষণের পর অভিমানে আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক বরাবরে মৃত দেহ উত্তোলনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ আলামত পরীক্ষার জন্য দাফনের ১০দিনের মাথায় লাশ উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর ফুলের ডেইল এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ও হ্নীলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তসলিমা আক্তার নুনু (১৩) কে প্রেমিক কর্তৃক অপহরণ ও ধর্ষণের পর তাড়িয়ে দেওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা কাজীর নেতৃত্বে এস আই আনোয়ারসহ একদল পুলিশ দরগাহ গোরস্থান হতে ওই ছাত্রীর মৃত দেহ উত্তোলন করেন। এ সময় অসংখ্য লোকজনের সমাগম হয়।
ঘটনায় প্রকাশ, গত ১১ মে হ্নীলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তসলিমা আক্তার (১৩) স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গেলে হ্নীলা মৌলভী বাজারস্থ রোজারঘোনা এলাকার বাসিন্দা এনামুল হকের পুত্র ইমরানুল হক ৩ বন্ধুর সহায়তায় সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে ২ দিন নিজের কাছে রেখে নির্যাতন পূর্বক বিকালে বাড়ীর কাছে দিয়ে চলে যায়। ঐ মেয়ের মা বাড়িতে না ফেরার কারণ জানতে চাইলে দোদুল্যমান অবস্থায় আসা মেয়ে তাকে অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। এক পর্যায়ে ছটফট করলে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
গত ১৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চমেকের মেডিসিন বিভাগে তার মৃত্যু হয়। ১৯ মে সকাল ৯টায় নামাজে জানাজা শেষে ঐ ছাত্রীকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর টেকনাফ থানায় নিহত ছাত্রীর মা সুফিয়া খাতুন (৪৬) একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য দাফনের ১০দিনের মাথায় উক্ত ছাত্রীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে নিরীক্ষার জন্য মর্গে নেওয়া হয়।