টেকনাফে ভাড়াবাসায় অভিযানে ৩জনকে ৬ মাসের সাজা, ১৭১ রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে প্রেরণ
টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ পৌরসভায় রোহিঙ্গাদের অবস্থানরত অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব-৭। এসময় রোহিঙ্গাদের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের সাজা প্রদান করেছে এবং ১৭১ রোহিঙ্গাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, পুরান পল্লান এলাকার ফরিদের ছেলে বাবলু (২১), ফাতেমা বেগম (৩২), সোমবার(১৩ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের পুরান পল্লান পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব সূত্রে জানায়, মিয়ানমার রাখাইনে সহিংসতার পর থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নেয়। এসব রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। কিন্তু অনেক রোহিঙ্গানা বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে ভাড়া বাসায় উঠে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন রোহিঙ্গাকে ভাড়া বাসা ও আশ্রয় না দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। তবু এক শ্রেণির ভাড়াবাসার মালিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
ফলে এলাকায় সহিংসতার পাশাপাশি চুরি, মাদকসেবনসহ অবৈধ কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ বিভিন্ন ভাড়া বাসায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এবং ভাড়াটিয়াদের আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হয়। রোহিঙ্গারা আগাম খবর পেয়ে বাসায় তালা মেরে সটকে পড়ে। এসব বাসায় তালা ভেঙ্গে অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন জানান, রোহিঙ্গাদের কোন ভাবেই ভাড়া বাসা দেওয়া যাবেনা। রোহিঙ্গাদের ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে ৩জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে এবং ১৭১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তাদের জন্য নির্দিষ্ট আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে। যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে অপরাধে জড়িত করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও রোহিঙ্গাসহ যে কোন অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।