টেকনাফে ২২২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের মাঠে সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মালিকবিহীন উদ্ধার করা ২২১ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০টাকার মূল্যের ইয়াবা বড়ি, সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
এ সভায় বক্তব্য দেন-বিজিবির কক্সবাজার সদর দপ্তর রামুর (অনুমোদনের অপেক্ষামান) রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এসএম আনিসুল হক।
কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মো. রকিবুল হক, ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব, কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) চাউ লাউ মারমা, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকী, প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মো. হাশেম প্রমুখ।
এ সভা পরিচালনায় ছিলেন ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান, শুল্ক গোদাম কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন আকন্দ, টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন প্রমুখ।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ৪ এপ্রিল থেকে গত ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচারের সময় ইয়াবা বড়ি, ম্যান্ডেলা রাম, গান মাস্টার, কান্ট্রি ড্রাইজিন, মিয়ানমার মদ, আন্দামান গোল্ড বিয়ার, ডায়াব্রু বিয়ার, চং ক্লাসিক বিয়ার, সিংঙ্গা বিয়ার, চেং বিয়ার, গাঁজা, চোলাই মদসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ২২১ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। যার মধ্যে ২১৯ কোটি ৬২ লাখ ৯১হাজার ৬০০ টাকার ইয়াবা বড়ি। আর, অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকারের মদ ও গাঁজা রয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এসএম আনিসুল হক বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার রাখার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বিজিবির। এর মধ্যে দিন-রাত পরিশ্রম করে বিজিবির জওয়ানরা ইয়াবা, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এসব প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলি।