টেকনাফ সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

teknaf pic (t) 28-2-16 (3)

টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফ সাবরাংয়ের এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার বেলা ১১ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে একযোগে সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনসহ দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার- রামুর সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান বাহাদুর মোস্তাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আহমদ হোসেন, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহম্মদ ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাফর আলম, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবরাংয়ের সোনা আলী, সদরের নুরুল আলম, হোয়াইক্যংয়ের ফরিদুল আলম জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলম বাহাদুর, কক্সবাজার জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহেরসহ আরো অনেকে।

স্বাগত বক্তব্যে আবদুর রহমান বদি এমপি বলেন, সাবরাংয়ে ১০২৭ একর জমিতে একটি পর্যটন পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যা জাতীয় অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এসব অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আর অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ১৪ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৬ সালের মধ্যেই তা ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

টেকনাফে অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলা হবে বলে জানা গেছে। দেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে একাধিক আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা, নাইট ক্লাব, কার পার্কিং, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, বার, অডিটোরিয়াম, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ক্রাফট মার্কেট, ল্যান্ডস্কেপিংসহ বিভিন্ন পর্যটন সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উদ্বোধন করায় এটির গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি কাজের গতিও বেড়ে যাবে। এমনকি খুব দ্রুত সময়ে টেকনাফের চেহারা পাল্টে যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে এবং পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার সফর কালে সৈকতকে কেন্দ্র করে সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কক্সবাজার টেকনাফ সাবরাংয়ে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।

তবে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা করেছে। এতে অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অংশ নিবেন। যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের সাথে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন