থানচিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত; সড়ক ও নৌপথ বিছিন্ন

fec-image

টানা ভারী বর্ষণে শংঙ্খ নদীর পানি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ঝিড়ির ঝর্ণার পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কারনে বান্দরবানে থানচি উপজেলা খন্দ খন্দভাবে ৪/৫টি স্থানে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। থানচি উপজেলার সাথে অন্যান্য জেলা উপজেলা সড়কে খন্দ খন্দভাবে ৭/৮টি স্থানে সড়কে পাহাড় ধসে সড়ক ও নৌপথ বিছিন্ন থাকায় স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠোন শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথভাবে থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বলিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত ২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। ঔ সব আশ্রয় কেন্দ্রে চাল, ডাল, চিনি, যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত শনিবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা এক সপ্তাহ ব্যাপী টানা ভারী বৃষ্টি, প্রবল বর্ষনে উপজেলা থানচি বাজারের শংঙ্খ নদীর আশে পাশে বসবাসরত প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এবং বলিপাড়া ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া, বাগান পাড়া, হাইল মারা পাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । বন্যা দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

এদিকে থানচি আলিকদম সড়কে পাহাড় ধসে সড়কের কয়েকটি স্থানে ব্লক হয়ে গেচ্ছে। বান্দরবান থানচি সড়কে জীবন নগর নামক স্থান হতে বলিপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার দুরত্বে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে সড়কের ব্লক হয়ে যাওয়ার জেলা সদর সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন রয়েছে।

বন্যা কবলিত ও পাহাড় ধসে সড়কে পরিদর্শণ ও সর্বক্ষনিকভাবে দুর্ঘটনা কবলিত পরিবার ও মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখছেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুল, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো, থানচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা। থানচি জামে মসজিদের ইমাম মোল্লা আনিস হক মোবারক সকাল থেকে মসজিদের মাইকিং করছেন প্লাবিত স্থান থেকে নিরাপথ স্থানে আশ্রয় নিতে।

যোগাযোগ করা হলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, আমার ইউনিয়নের শংঙ্খ নদী তীরবর্তী বসবাসরত ৫ শতাধিক পরিবার বন্যা কবলিত হয়েছে। পরিবারের স্বজনদের আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের আমিসহ সদস্যদের সমন্বয়ে ২টি টিম আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপথ স্থানে রাখা হয়েছে । তিনি আরো বলেন, থানচি সদর হতে হাসপাতালের যাওয়ার পথে একটি কালভার্ট সেতু ডুবে গেচ্ছে এখন নৌকা দিয়েছি।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৬টা হতে বান্দরবান থেকে থানচি উপজেলা উদ্যেশে রওনা দিয়েছি। জীবন নগর নামক স্থানে পৌছলে সড়কে পাহাড় ধসে দুইজনে গাড়ি রেখে দুই ঘন্টা পাঁয়ে হেঁটে ভরট পাড়া নামক স্থানে পৌছলে খন্দ খন্দ ভাবে ৭/৮টি স্থানে পাহাড় ধসে সড়কে মাটি ব্লক করে ফেরার কারনে পূনরায় ফিরে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, থানচি উপজেলা সদরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারিকুল রহমান ও তার কার্যালয়ের সকল কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্র গুলিতে শুকনো খাওয়ার ও বিশুদ্ধ পানিসহ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কথা ।

যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারিকুল রহমান বলেন, বলিপাড়া ইউনিয়নে উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় নেয়ার শতাধিক দুর্ঘট পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ সকল প্রকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন