থানছি হাসপাতালে ৩৪ বছর পর খাবার সরবরাহের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের খাবার সরবরাহের দীর্ঘ ৩৪ বছর পর অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুই প্রু।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মংটিংঞো মারমা বলেছেন, ১৯৮৩ সালে ১১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হলেও খাবার সরবরাহের কোনো অনুমোদন না থাকায় হাসপাতালের আন্তঃ বিভাগ (ইনডোর) রোগী ভর্তি করা যায়নি। তবে গত আগস্ট মাস থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ করায় অান্তঃবিভাগ চালু করা হযেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৮৩ সালে ১১ শয্যা বিশিষ্ট এবং পরে ১৯৯৭ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করা হয়। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানি সংকট, ডাক্তার-নার্সদের আবাসিক সমস্যাসহ নানা কারণে হাসপাতালটি এতদিন পুরোপুরি চালু করা যায়নি। বহিঃবিভাগ চালু থাকলেও বন্ধ ছিল এতদিন আন্তঃবিভাগ। মাঝে মধ্যে রোগীরা নিজ খরচে হাসপাতালটিতে থাকতো। নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা থাকলেও চিকিৎসকরা মাসের শেষে গিয়ে বেতন নিতো।

গত আগস্টে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেয়ায় স্বাস্থ্য সেবা দিতে চালু হয়েছে আন্তঃবিভাগ (ইনডোর)। এমনকি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি গত শনিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির নতুন আন্তঃবিভাগ পরিদর্শন করেন।

জেলা শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দুরে দুর্গম থানছি উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি চালু হওয়ায় আনন্দিত হয়েছেন দীর্ঘদিন চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত উপজেলাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংবা অং বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু হওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারব। সেবা নিতে বান্দরবানে যেতে হবেনা।

উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য অনেকবার কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পুরোদমে চালু করা গেলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ প্রু মারমা জানান, থানছি হাসপাতালে ৫জন চিকিৎসক ও ৭জন নার্স রয়েছেন। বহিঃবিভাগের পাশাপাশি আন্তঃবিভাগও চালু হয়েছে। অন্যান্য সমস্যগুলোও সমাধান করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন