থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন হচ্ছে না কক্সবাজারে, নেই পর্যটক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
২০১৮’কে বিদায় ও ২০১৯’কে বরণ করে নিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এবার নেই লাখো পর্যটকের উপচেপড়া ভীড়।
এর আগে থার্টিফার্স্ট নাইটে ৩১ ডিসেম্বরের আগে ও পরে প্রতিবছর এ উপলক্ষে কক্সবাজারে সমাগত হয়ে থাকে ৩ লক্ষাধিক দেশি-বিদেশি পর্যটক।
এবার কক্সবাজার পর্যটন শুন্যতা থাকবে এবং কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বছরের শেষদিন অর্থাৎ থার্থিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে প্রতিবছর জমে উঠে কক্সবাজারের তারকামানের হোটেলগুলো। থাকে কনসার্ট ও বিভিন্ন পরিবেশনা। বর্ষশেষ উদযাপন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে একত্রিত হয় কয়েকলাখ মানুষ। মূখরিত হয়ে উঠে আনন্দ-উল্লাসে।
হোটেল মালিকরা জানান-অন্যবার থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আগ থেকেই ফ্যামিলিপার্টি ও কর্পোরেট পার্টির জন্য এসব হোটেলে ভেন্যু বুকিং থাকে। কিন্তু নির্বাচনী বাধা-নিষেধের জন্য এসব হোটেলে এবার বিশেষ আয়োজন হচ্ছে না। একই কারণে কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্ট-গেস্ট হাউজে এবার থার্টিফার্স্ট নাইটের জন্য নেই পর্যটকদের আগমন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন-প্রতিবছর থার্টিফার্স্ট কে কেন্দ্র বিভিন্ন হোটেলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় কিন্তু এবার প্রশাসনের বিধিনিষেধের কারণে কোনো আয়োজন নেই। আমরা চেয়েছিলাম প্রশাসনের সাথে বসে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে কিছু করার, প্রশাসন তা নিষেধ করে দেয়। একারণে হোটেল ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
অপরদিকে একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনেও পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী উত্তাপে সরকারের দেয়া ঘোষিত ৪ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো পর্যটক ও জাহাজ যেতে পারেনি। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ২ জানুয়ারি নাগাদ পর্যটক ও জাহাজ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু প্রতিবছরের ন্যায় আনন্দ উল্লাস করতে বছরের শুরুর দিন পর্যটন নগরী ও দ্বীপে পালন করতে পারবে না কেউ। যার ফলে নতুন বর্ষবরণ বা থার্টিফার্স্ট নাইটের দিনে সী-বীচ, হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরা সমূহে শূণ্যতা বিরাজ করছে। প্রতিবছর এদিনে সেখানে থার্টিফার্স্ট নাইট পালনে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক ভীড় জমায়। ইংরেজী বর্ষকে বরণ করতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে লাখো পর্যটক ছুটে আসেন। প্রতিবছর এদিন উদযাপনে ব্যাপক আয়োজন থাকলেও এ বছর সেন্টমার্টিন দ্বীপে ও টেকনাফে পর্যটক নেই বললে চলে। এর ফলে দেশি-বিদেশি কোনো পর্যটক নিরাপত্তার কারণে ভ্রমনে বের হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-থার্টিফার্স্ট নাইট না পেলেও পরের কয়েকদিন সামনে রেখে সেন্টমার্টিন দ্বীপের হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরাগুলো নানারূপে সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী উত্তাপ এর কারণে এ ভরা মৌসুমেও পর্যটক না থাকায় হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরা মালিকদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলবেনা এবার লাখো পর্যটক। ইংরেজি নতুন বর্ষকে বিদায় ও বরণ করতে দূরপাল্লার কোনো পর্যটক নির্বাচনী মৃদুহাওয়ায় বাসা-বাড়ি হতে বের হচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চিন্তা করে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আসা হচ্ছে না আগত পর্যটকদের।
হোটেল-মোটেল ও সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে-হোটেলে ১/২ মাস আগের বুকিং ও নির্বাচনের ৪/৫ দিন আগে চলে আসা কিছু পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসছে। তারাও হোটেল থেকে বীচ ও আশপাশ এলাকা ঘুরে সন্ধ্যার আগেই রুমে চলে যাচ্ছে।