দীঘিনালায় ভোট না দেয়ার অভিযোগে বিধবা’র ঘরে হামলা
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
ভোট না দেয়ার অভিযোগে দীঘিনালায় এক বিধবা মহিলার বসতঘরে হামলা চালিয়েছে মদ্যপ অজ্ঞাত কয়েক যুবক।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার উত্তর মিলনপুর গ্রামের বিধবা জয়মালার বাড়িতে এঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্হলে সেনাবাহিনী গেলে মদ্যপ অজ্ঞাত যুবকরা পালিয়ে যায়।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার উত্তর মিলনপুর গ্রামের খোকন মিয়াকে খোঁজতে যায় একই এলাকার মদ্যপ কয়েক জন যুবক। পরে সেখানে বিধবা জয়মালা বেগমের মেয়ে জামাই খোকন মিয়াকে বাড়িতে না পেয়ে, বিধবার বসতঘরে হামলা চালায়।
এসময় দা বল্লম দিয়ে ঘরের বেড়া কেটে হাড়ি-পাতিল ভেঙ্গে তছনছ করে। পরে ঘটনাস্হলে সেনাবাহিনীর আসার খবর পেয়ে মদ্যপ অজ্ঞাত যুবকরা পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে বিধবা জয়মালা বেগমের মেয়ে ইয়াছমিন বেগম অভিযোগ করে জানান, মদ খাওয়া অজ্ঞাত যুবকরা প্রথমে আমার স্বামীকে খোঁজে, তাকে না পেয়ে পরে আমার মায়ের বসতঘরে হামলা চালায়। ঘরের বেড়া ভেঙ্গে তছনছ করে। হাড়িপাতিল ভেঙ্গে দেয়। পরে সেনাবাহিনী আসার খবর পেয়ে, সেনাবাহিনীকে কিছু না বলার জন্য গলায় ছুরি ধরে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এব্যাপারে জয়মালা বেগম জানান, আমি ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমরা সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি। তারপরও ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে আমার বসতঘরে হামলা করে ঘরের হাড়ি পাতিল ভেঙ্গে দিয়ে যায়। এসময় কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সাথে সাথে সেনাবাহিনী না আসলে হয়তো আমাদের জীবনে মেরে ফেলতো।
এব্যাপারে কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার পর রাতেই বিধবা জয়মালার বাড়িতে গিয়েছি। ঘর-দোয়ার, হাড়িপাতিল ভাঙ্গার দৃশ্য দেখেছি। এধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্ত না হয় সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি এবং পরবর্তীতে এধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, দায়দায়িত্ব তাদের বহন করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ কোন প্রকার দায় নিবেনা।