দ্বিমুখী লড়াই জমে উঠেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান:

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেও সারা দেশের মতো প্রচার প্রচারনা জমে উঠেছে। এই নির্বাচনে হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের কোম্পানী। এ ছাড়াও, উপজেলায় আলোচনায় থাকা অপর প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফি উল্লাহ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফরিদ।

নির্বাচনে চার জন প্রার্থী থাকলেও মূলত তৃণমূল পর্যায়ে দ্বিমুখী লড়াই জমে উঠছে। অপর প্রার্থী চোচু মং মারমা মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও কিছু নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

আবার নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোটর সাইকেল প্রতীকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়।

এই প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- যেহেতু দলীয় মনোনীত কোন প্রার্থী নেই তাই বিএনপির কোন নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা প্রশ্নই আসেনা। যদি কেউ করে থাকে তাহলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিষয়ে কেন্দ্রকে জানানো হবে।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে- নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জেলা অবগত আছেন এই বিষয়ে সীদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সরকার জনগণকে উপহার দিতে যাচ্ছেন।

শনিবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক মো. শফি উল্লাহ ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণা চালান। এসময় তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়ন জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

অপরদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের কোম্পানী নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১, ২ ওয়ার্ডসহ দোছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম পাইনছড়িতে প্রচারণা চালান। তিনিও একই ভাবে উন্নয়ন ও এলাকার সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য শান্তি সম্পৃতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচনে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অংশ গ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন। বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত চলমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান ভোটাররা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন