“অনেক মসজিদে তারাবির নামাজ হয়নি”
নাইক্ষ্যংছড়িতে

ঈদের ঘোষণায় এতেকাফ ছেড়েছে, অনেক মসজিদে তারাবীহ হয়নি

fec-image

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও ঈদ জামাতের ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামে মসজিদে মাইকিং নিয়ে এই বিভ্রান্তি শুরু হয়। এর পর পর ঈদ জামাতের ঘোষণার সময় জানিয়ে মাইকিং করে বাজার জামে মসজিদ।

এই নিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মুসল্লীরা। এদিকে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় পুনরায় মাইকিং করে বৃহস্পতিবার ঈদ জামাতের ঘোষণা দেন উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ইফতারের পর পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামে মসজিদের মাইক থেকে বুধবার সকাল ৮টায় ঈদ জামাতের ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাজার জামে মসজিদেও একইভাবে মাইকিং করেন। এতে স্বাভাবিক ভাবে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঈদের শেষ কেনাকাটার জন্য উৎসুক মানুষের ঢল নামে।

কিন্তু রাত ৯টার পর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যপারে উপজেলা জামে মসজিদে এতেকাফে থাকা এক মুসল্লী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- জাতীয় ঘোষণা না শুনে তাড়াহুড়ো করে ঈদের ঘোষণা দেওয়ার কারণে তিনিও এতেকাফ ছেড়ে বাজারে বের হয়ে যান। কিন্তু পরক্ষনে ঈদ না হওয়ার ঘোষণা শুনে নিজেকে অপরাধী মনে করছেন তিনি।

এভাবে নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন মসজিদ থেকে এতেকাফ থেকে অনেকে বের হয়ে যান।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বাসিন্দা শিক্ষক মোঃ ইউনুছ জানান- ঈদ জামাতের ঘোষণা শুনে বিভিন্ন মসজিদ থেকে এতেকাফে থাকা মুসল্লীরা বের হয়ে গেছেন। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে দেখছেন তিনি।

উপজেলা মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী ফেরদৌস সিকদার জানান- উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের আগে মাইকিং করা মুঠেও উচিৎ হয়নি। এতে অনেক মসজিদে তারাবির নামাজ হয়নি। তাদের শত শত মুসল্লী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন- মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা মসজিদের ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের ছিলনা। হয়তো মসজিদ থেকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সীদ্ধান্তের পর রাত সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাতের ঘোষণা জানিয়ে দেওয়া হয়।

বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা বশির উদ্দিন জানান- দায়িত্বশীল মানুষ থেকে শক্ত হওয়া দরকার। এতেকাফ থেকে যারা বের হয়েছেন তারা বিজোড় রাত পেয়েছে। তারপরও চাঁদ দেখা না যাওয়ার আগে বের হওয়া সওয়াবের ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি থাকবে।

থানা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ছৈয়দ হোসেন জানান- মাইকে ঘোষণা শুনে এতেকাফে থাকা দুই মুসল্লী চলে গেছেন।

বাজার জামে মসচিদের মূয়াজ্জিন মাওলানা আজিজ জানান- চাঁদ দেখার ঘোষনা আমরা দিইনি। তবে সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাতের ঘোষনা দেওয়া হয় মাইকে। ওই মসজিদ থেকে এতেকাফ থেকে এক ছোট ছেলে চলে গেছে বলে জানান তিনি।

মাইকিং করা উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ফরিদুল আলম রাতে এশা নামাজে মুসল্লীদের কাছে দুখ প্রকাশ করে জানান- সৌদিতে ঈদ হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে বুধবার বাংলাদেশে ঈদ হবে মনে করেছিলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদের ঘোষণায়, এতেকাফ, নাইক্ষ্যংছড়িতে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন