নাইক্ষ্যংছড়িতে বৌদ্ধ জাদি মন্দিরে হামলা ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় দুই খ্রিস্টান যুবক আটক
বাইশারী (নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর চাক পাড়া (শিয়া পাড়া) বৌদ্ধ জাদি মন্দিরে হামলা ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় বৌদ্ধ ধর্ম থেকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত দুই যুবক ইউনিয়নের মধ্যম চাক পাড়ার বাসিন্দা আথুই চাকের পুত্র অংচাই চাক (১৫) ও একই গ্রামের বাসিন্দা খিজারী চাকের পুত্র চক্রাঅং চাক (১৬)।
এদিকে সোমবার সকাল ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিছুর রহমান, বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মংশৈপ্রু চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাবু ধুংছাই মার্মা, হেডম্যান মংছানু চাক, জেএসএস নেতা মংনু হেডম্যান, বাবু নিউহ্লামং মার্মা, মংরি চাক, ওয়াইক্যং চাক, থোয়াইচাহ্লা চাক, হেডম্যান মংথোয়াইহ্লা মার্মাসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মীয় লোকজন।
- এ সংক্রান্ত আরো খবর পড়ুন:
♦ নাইক্ষ্যংছড়িতে বৌদ্ধ জাদি মন্দিরে নব্য খ্রিস্টানদের হামলা: মূর্তি ভাংচুর
- ♦এবার মিশনারীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আনলেন বান্দরবানের চাক সম্প্রদায়ের বৌদ্ধরা
- ♦ চাক সম্প্রদায়কে ধর্মান্তরকরণ: আঞ্চলিক পরিষদের তদন্ত টিম নাইক্ষ্যংছড়িতে
- ♦আলীকদমে আর্থিক লোভ দেখিয়ে বৌদ্ধ থেকে ৩৩ জনকে খৃস্টান বানানোর অভিযোগে সেভেন্থ ডে এ্যাডভেন্টিস্ট মিশনারীর ৫ জন আটক
- ♦ ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে বান্দরবানে এনজিও কমপেশন-এর কার্যক্রম বন্ধ
- ♦ খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ছদ্মাবরণে চলছে ধর্মান্তরকরণ মিশন
- ♦ পার্বত্য তিন জেলায় খৃষ্টীয়করণে বেপরোয়া মিশনারী চার্চগুলো
- ♦ পার্বত্য এলাকায় এনজিওর নামে ধর্মান্তরকরণ
- ♦ স্বার্থের প্ররোচনায় হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি
- ♦পার্বত্য এলাকায় এনজিওর নামে ধর্মান্তরকরণ
- ♦ পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা
- ♦ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার ও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন
গত ৮ জানুয়ারি বাইশারী ইউনিয়নের শিয়া পাড়া জাদি মন্দিরে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান যুবকেরা জাদি মন্দিরে হামলা চালিয়ে বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুর করে। উক্ত ঘটনায় সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বেলা ১২ টার সময় উক্ত দুই যুবককে আটক করে। আটককৃত যুবকেরা মূর্তি ভাংচুরের কথা পুলিশের নিকট তাৎক্ষনিক ভাবে স্বীকার করে। এই ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামং চাক বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মূর্তি ভাংচুর ও হামলায় ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ২ যুবক এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮জানুয়ারি শুক্রবার মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে ৯ জানুয়ারি ২ যুবককে সামাজিকভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তি করা হলেও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন এসব মানতে রাজি না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা দায়ের করা হয়।