Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

cbf52ad927

ক্রীড়া ডেস্ক:

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের বাছাইপর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ডাচদের ৮ রানে হারিয়ে বিশ্বমঞ্চের মিশন শুরু করলো টাইগাররা। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৪ রানের টার্গেটে ৭ উইকেট হারানো ডাচদের ইনিংস থামে ১৪৫ রানে।

বিশ্বকাপ মিশনের শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৩ রান। দারুণ ব্যাট করেন টাইগারদের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।

অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগেই হুমকি দিয়েছিলেন ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে অঘটন ঘটাবেন তারা। তা অঘটন ঘটাতে না পারলেও টাইগারদের ভেতরে কাঁপন ধরিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩ রান মাঝারি মানের সংগ্রহ বলা যায়। তারপর ধর্মশালার এ স্টেডিয়ামের রেকর্ডও বলে ভিন্নকথা। এ মাঠে ২০১৪ সালের অক্টোবরে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডেতে উঠেছিল ৬০১ রান। গত অক্টোবরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম এ মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিল। সেই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য বেশ অনায়াসেই ছুঁয়েছিল প্রোটিয়ারা।

ভয়েরর কারণ ছিল আরও। এই ডাচরাই কিনা ২০০৯ বিশ্বকাপে পরে ব্যাট করে ১৬৪ রান তুলে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। আগের ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ইনিংসের ১১টিতেই ১৫০ কিংবা এর বেশি করেছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের বড় শক্তি এখন বোলিং। শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত বোলাররাই টাইগারদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে বারবার।

তামিম আর বোলারদের কল্যাণে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করলো বাংলাদেশ। প্রাথমিক রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এদিন নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য-সাকিব-সাব্বির-মুশফিকদের আসা যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম ইকবাল। শেষ পর্যন্ত তার ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৫৩ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নেদারল্যান্ডস। ফলে ৮ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

বুধবার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন। ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ৩ ওভারে ১৮ রান তুলেন তারা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আউট হন সৌম্য। ভ্যান ম্যাকরেনের বলে উইকেট কিপার ওয়েসলি ব্যারাসির হাতে কাচ তুলে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে আসেন সাব্বির। তাকে নিয়ে ৫.২ ওভারে ৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তামিম। তবে ৮.৩ ওভারে দলীয় ৬০ রানের মাথায় ভ্যান ডার মারে’র বলে আউট হন সাব্বির (১৫)। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান সাকিব আল হাসানও (৫)। ১০.৫ ওভারে পিটার বোরেনের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম। ১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ভ্যান ডার গুটেন। ১৪.২ ও ১৪.৫ ওভারে তার বলে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (১০) ও মুশফিক (০)। ১৭.৪ ওভারে ফিরে যান নাসির হোসেনও।

তবে একপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল থাকলেও দমে যাননি তামিম। একপ্রান্ত থেকে ব্যাট চালিয়ে খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৮ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। ঝড়ো এই ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার রয়েছে। তামিমের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে টাইগাররা। ডাচদের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ভ্যান ডার গুটেন, দুটি উইকেট নিয়েছেন ভ্যান ম্যাকেরেন।

১৫৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে ডাচরা। দলীয় ২১ রানের মাথায় ব্যারেসিকে (৯) ফেরান আল আমিন। ব্যারেসি সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরন। ৮.১ ওভারে মাইবার্গকে (২৯) বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ । এরপরে বেন কুপার ও পিটার ব্যারন ৩.১ ওভারে ২৪ রানের জুটি গড়েন। ১১.২ ওভারে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। বেন কুপারকে (২০) বোল্ড করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এরপরই হাল ধরেন পিটার ব্যারন ও টম কুপার। ক্রমেই এই জুটি যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল তখন ডাচ অধিনায়ক পিটার ব্যারনকে ফেরান সাকিব আল হাসান। তাকে নাসিরের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ২৯ রান করেন তিনি। এছাড়া টম কুপারের সঙ্গে ৪.৪ ওভারে ৩৫ রানের জুটি গড়েন পিটার।

পরের ওভারে আঘাত হানেন মাশরাফি। ভ্যান ডার মারউইকে (১) উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন টাইগার অধিনায়ক। ডাচদের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ডাচদের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় ৩৯ রান। ১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান করতে পারে ডাচরা। ১৯তম ওভার বোলিং করেন আল আমিন। প্রথম বলে টম কুপারকে ফেরান তিনি। কিন্তু পরের দুটি বলে ১টি চার ও ১টি ছয় হাঁকান মুদাসসর বুখারি। ওই ওভারের শেষ বলে চারও হাঁকান পিটার সেলনার। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ডাচদের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় ১৭ রান। ওভারের প্রথম বলে আসে দুই রান। দ্বিতীয় বলে রানআউটন হন বুখারি। শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান সংগ্রহ করতে পারে নেদারল্যান্ডস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয় ডাচরা।

টাইগারদের হয়ে আল আমিন ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। সাকিব ৪ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে পান আরও দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি ও নাসির। নাসির ২ ওভারে ২৪ রান খরচ করেন। মাশরাফি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক ওভার বল করে ৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন। উইকেট পাননি ২ ওভারে ১০ রান দেওয়া আরাফাত সানি। তাসকিন ৪ ওভারে খরচ করেন ২১ রান, তবে উইকেটের দেখা পাননি।

ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠে ৪ চার বছর পর অর্ধশতক হাঁকানো তামিম ইকবালের হাতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন