Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পতাকা বৈঠকের পরও মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ব্যাটালিয়ান পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শুক্রবার বিকেলে শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় আবারও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা ও বিজিপি মোতায়েন করেছে। সীমান্তে ওপারে সন্ধ্যায় ৭ ট্রাক এবং আগেও ৭ ট্রাক সেনা বৃদ্ধি করেছিল।

বৃহস্পতিবার সেনা বৃদ্ধির পরপর রাতে দু-রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করলেও এবার কোন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি নিরপেক্ষ রেখায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে। তবে সেনা বৃদ্ধি করলেও এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির আহমদ জানান, সীমান্তের ওপারে কিছু দুর অন্তর অন্তর ছোট ছোট বাঙ্কার করে সেনারা সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নিয়েছে। পতাকা বৈঠকের পরও সন্ধ্যায় মিয়ানমার সীমান্তে কয়েক গাড়ি সেনা আনা হয়েছে। রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে আছে।

নো ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গা নুরু জানান, শুক্রবার সকালে সীমান্তে মিয়ানমারের পুলিশ কম দেখা গেলেও বিকালে আবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে তারা। তবে কোন ধরনের গুলির আওয়াজ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে খুব আতঙ্কের মধ্য আছেন। এরা কখন কি করে কিছুই বুঝা যায় না। সেনা সদস্যরা এখানে এসে আমাদের মারতে চায়, এখানে থাকলে আমাদের ভয় লাগে, তাই অন্যত্র সরিয়ে দিলে ভাল হবেও বলে জানান তিনি।

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা গুলোতেও অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদেরকে সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে। তুমব্রু’র কোনারপাড়া নিরপেক্ষ রেখা এলাকার পাশে বাংলাদেশ ভুখণ্ডে ৩টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যা দিয়ে পুরো এলাকাটি মনিটর করা হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেলে ঘুমধুম সীমান্তের ঢেকুবুনিয়ার ২২নং পিলারের কাছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ফ্রেন্ডসিপ ব্রিজের কাছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জরুল হাসান খান এবং বিজিপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সীমান্ত পুলিশের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সোয়োজাই লিউ।

বৈঠকে বিজিপির পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের দেশের নিরাপত্তা সমস্যার কারণে সেনা বাড়িয়েছে। কিন্তু গুলি ছোড়ার কথা তারা স্বীকার করে বলেছে তাদের সীমানায় ছোড়া হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে সীমান্তে সেনা বৃদ্ধির আগে ঢাকাকে জানাতে বলা হয়েছে। পতাকা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কক্সবাজার বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জরুল হাসান খান। বংলাদেশ-মিয়ানমার  নিরপেক্ষ পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি। কিন্তু বৈঠক শেষে মিয়ানমার আবারও সীমান্তে সৈন্য বাড়িয়ে দিয়েছে।এর ফলে আতঙ্কে রয়েছে রোহিঙ্গারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন