পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে দরকার ‘উদ্যোগ’ বাস্তবায়ন

Cox.bech Pic(3)

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:

আশির দশকের পর থেকে শুরু হওয়া ‘পর্যটন শিল্প’ কক্সবাজারকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদুর। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রবাল দ্বীপ, পাথুরে বীচ ছাড়াও অসংখ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কক্সবাজারের ‘ঐতিহ্য’কে যেমন গৌরবান্বিত করেছে। তেমনি পর্যটনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে করেছে সমৃদ্ধ। দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা কক্সবাজারের বর্তমান সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পর্যটকদের জন্য আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার। যার ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের খ্যাতি ছড়িয়ে যাবে বিশ্বময়। তবে এজন্য কেবল ‘উদ্যোগ’ বাস্তবায়নই জরুরী বলে মনে করেন তারা।

যেভাবে আসবেন পর্যটন রাজধানীর বুকে                                                                                                                                                         ঢাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহনের এসি-ননএসি বাস ও উড়োজাহাজ দিয়ে সরাসরি কক্সবাজারে আসা সম্ভব। এছাড়া ট্রেন যোগে চট্টগ্রাম এসে সেখান থেকে বাস নিয়ে সড়ক পথেও কক্সবাজার পৌঁছতে পারেন পর্যটকরা। তবে নৌ-রুটে কক্সবাজার আসার কোন সুযোগ এক সময় থাকলেও এখন আর সম্ভব নয়।

দর্শনীয় স্থানসমুহ 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি কক্সবাজার এসেই দীর্ঘ ১২০ কিলোমিটার সৈকত দর্শনের পর চোখের সামনেই সুর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অবাক করার মতো। এরপর পাহাড় আর সমুদ্রের কুল ঘেঁষে গড়ে উঠা ‘মেরিন ড্রাইভ’ সড়ক দিয়ে ‘গুহা’ সমৃদ্ধ পর্যটন স্পট দরিয়া নগর, পরিচ্ছন্ন পানি ঝর্ণা সমৃদ্ধ হিমছড়ি, হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা পাথুরে বীচ ইনানী, কয়েক আমলের ঐতিহ্য উখিয়ার কানা রাজার গুহা, বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, প্রেমের স্মৃতিস্তম্ভ টেকনাফের মাথিনের কুপ, নীল সমুদ্রের নদী রেজু খাল, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, বালির পাহাড় সমৃদ্ধ দ্বীপ সোনাদিয়া, কুতুবদিয়ার বাতিঘর ও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপরূপ সৌন্দর্য্য পর্যটকের মন আকৃষ্ট করে।
সার্ফিং ক্লাব বাংলাদেশ’র পরিচালক সার্ফার জাফর মনে করেন, “কক্সবাজার কেবল পর্যটন শিল্পকেই এগিয়ে নিয়ে যায়নি। বরং এগিয়ে নিয়েছে লাল-সবুজের এ দেশকেও। কেননা বহির্বিশ্বে এখন বাংলাদেশ বলতে আগে ‘কক্সবাজার’ উল্লেখ করতে হয়।”
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টুয়াক বাংলাদেশ) এর সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে ‘ইকো-ট্যুরিজম’ এর উপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া দরকার। যেভাবে দালান উঠছে-এতে করে পুরোই কক্সবাজারই ইট-পাথরের নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
“ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটক ও বিদেশি পর্যটকরা তো দালান-কৌটা দেখার জন্য কক্সবাজারে আসেননা। তারা মনোরম পরিবেশে উন্মুক্তভাবে সময় কাটাতে চায়। এজন্য ইকো ট্যুরিজম অত্যন্ত দরকার। ” যোগ করেন তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গার কোন সংকট নেই। কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও কটেজের সংখ্যা প্রায় চারশ’র মতো। কেবল প্রয়োজন বিনোদনের। হিমছড়ির পাহাড়, দরিয়া নগরের পাহাড় দিয়ে ‘ক্যাবল কার’ চালু করতে পারলে পর্যটন শিল্প আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা ও কক্সবাজার পর্যটন উন্নয়ন সাংবাদিক পরিষদ’র সভাপতি আহমদ গিয়াস সহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে নিন্মোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

ফ্রি মার্কেট

‘ফ্রি মার্কেট’ হচ্ছে উন্মুক্ত মাঠ কিংবা রাস্তার দু’পাশ বন্ধ রেখে ছোট ছোট ভ্রাম্যমান দোকান দিয়ে একটি ‘বাজার’ বসানো। যাতে সব ধরণের পণ্য সূলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন ক্রেতারা। থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া সহ উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশে চালু আছে ‘ফ্রি মার্কেট’ ব্যবস্থা।
মানি চেইঞ্জার : ‘মানি চেইঞ্জার’ অর্থাৎ মুদ্রা বিনিময়। পরিষ্কারভাবে বললে ডলার, রুপি কিংবা কেয়াটের বিনিময়ে বাংলার ‘টাকা’ প্রদান। এটি যে কোন দেশের প্রতিটি স্থানেই অতি প্রয়োজন। পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

ট্যুরিস্ট হেল্প ডেস্ক

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে আসেন। বিশ্বের দরবারে কক্সবাজার যেভাবে স্থান করে নিয়েছে। এতে করে পর্যটক দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যে সব পর্যটক কক্সবাজারে আসেন-তারা বিভিন্ন তথ্য ও সেবার অভাবে ভোগান্তি পোহান। ফলে ‘হেল্প’ নিতে গিয়ে রিক্সাওয়ালা, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা ধরণের প্রতারকের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হন। যদি ‘ট্যুরিস্ট হেল্প ডেস্ক’ থাকতো তাহলে পর্যটকের ভোগান্তি বহুাংশে কমে যেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন গ্রাম : থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, মালদ্বীপ সহ উন্নত বিশ্বের বিশ্বের প্রায় দেশে একাধিক ‘ট্যুরিজম ভিলেজ’ তথা ‘পর্যটন গ্রাম’ রয়েছে। বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান ঘুরে ‘ট্যুরিজম ভিলেজ’-এ প্রবেশ করেন। সে দেশিয় কৃষ্টি-কালচার ও বাসিন্দাদের জীবন যাত্রা দর্শন পর্যটককে আরো বেশি মুগ্ধকর করে তোলে। অর্থ ব্যয় করে পর্যটকরা ওই সব ‘পর্যটন গ্রাম’ ঘুরেন। এতে সে দেশের জনগণ উপকৃত হয়। বিকশিত হয় সে দেশের পর্যটন শিল্প।

পর্যটন গাইড বুক

কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দিয়ে এটি বর্তমানে বিশ্বময় পরিচিতি লাভ করেছে। সেই সুবাধে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পর্যটকদের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক কোন মাধ্যম তথা ‘গাইড বুক’ না থাকায় তারা প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এজন্য কক্সবাজারের নানা তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ একটি বুক অর্থাৎ ‘ পর্যটন গাইড বুক’ প্রকাশ করা এখন সময়ের দাবী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
রিসাইকেল মার্কেটিং : সাংসারিক কাজে কিংবা নিজের প্রয়োজনে নিত্য ব্যবহার্য বস্তু কিছু দিন ব্যবহারের পর অনেকে বাসায় ফেলে রাখেন। অথচ এসব বস্তু আরো বহুদিন ব্যবহারের উপযোগী। এই পড়ে থাকা জিনিস গুলো যেখানে বিক্রি হয়-সেটিই ‘রিসাইকেল মার্কেটিং’। থাইল্যান্ড, মালশেয়িা, জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া সহ উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশেই এ রিসাইকেল মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু আছে।

শিশু পার্ক 

দীর্ঘতম সৈকতের নগরীতে সন্ধ্যা হলেই তেমন আর কিছু দেখার মত থাকেনা। ফলে পর্যটকরা হোটেলের কক্ষে বসেই সময় কাটান। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ পর্যটকরা এ সময়টুকু বাড়তি আনন্দ পান পার্কে বসে। বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করেছে তাতে শিশু পার্কের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
স্পোর্টস ট্যুরিজম : স্পোটর্স ট্যুরিজম বলতে বিশ্বের সব ধরণের জনপ্রিয় খেলার আয়োজন করা। উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নানা ধরণের দেশি-বিদেশী খেলার আয়োজন থাকে পর্যটকদের জন্য। তবে কক্সবাজারে আপাতত যেগুলো করা সম্ভব অন্তত সে ইভেন্ট গুলো চালু করলে ট্যুরিস্টদের জন্য নতুন বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণেরও দাবী জানান সংশ্লিষ্টরা।

ধন-সম্পদ উপস্থাপন

বিশ্বের যে কোন দেশ গর্ব করে তাদের তৈরি পণ্য, ঐশয্য কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দয্য নিয়ে। অথচ কক্সবাজারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি এতো সম্পদ থাকা সত্বেও তা এখনো পর্যটকরা জানেন না। ফলে কেবল সমুদ্রই তাদের বিনোদন ভেবে বেশি দিন অবস্থান না করেই বাড়ি ফিরে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারের ধন-সম্পদ সম্পর্কে পর্যটকদের মাঝে ধারণা সৃষ্টি করা গেলে দেশের পর্যটন শিল্প আরো বিকশিত হবে।

রাখাইনদের তাঁত শিল্প

জেলার রাখাইদের তাঁত বস্ত্রের বড় একটা চাহিদা রয়েছে ক্রেতার কাছে। পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষেরা তাঁত বস্ত্র ব্যবহারে এখনো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বিশেষজ্ঞা বলছেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে সাজাতে ও ব্যাপক সমৃদ্ধ করার জন্য রাখাইনদের তাঁত শিল্পকে আরো গতিশীল করা দরকার। এটিকে পর্যটকদের সামনে   ফুটিয়ে তুলতে পারলে জেলার পর্যটন শিল্প বহুধাপ এগিয়ে যাবে।

কুমার শিল্প

উপযুক্ত মাটি সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে মাটির জিনিস তৈরির উপযোগী করেন কুমার শিল্পীরা। কোন আধুনিকতার সুবাধে নয়; নিজেদের পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা এবং নিপূণ হাতের স্পর্শেই তৈরি করে হরেক রকম সংসারী মাটির জিনিস। এক সময় ঘরের রান্না-বান্নাসহ বাড়ির প্রায় কাজেই ব্যবহৃত হতো মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র। কালের বিবর্তনে আজ তা হারানোর পথে। অথচ যার কদর এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে তা পর্যটকদের সামনে উপস্থাপন করা গেলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বহু ধাপ এগিয়ে যাবে।

ফাঁকা রাস্তা

উন্নত বিশ্বের যেসব দেশে পর্যটনের উন্নয়ন কিংবা বিকাশ সাধিত হয়েছে সেসব দেশের প্রায় স্থানে পর্যটক হাঁটার জন্য ‘ফাঁকা রাস্তা‘ রয়ছে। সকাল-বিকেল যে কোন সময় পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নির্বিঘেœ হেঁটে সময় কাটাতে চান। যার জন্য ফাঁকা কোন জায়গা বা রাস্তা না থাকলে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন পর্যটকরা।
ড্রাই ফিশ : শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া, মধ্যম নুনিয়াছড়া ও ১নং ওয়ার্ড-এর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এসব ড্রাই ফিশ। ড্রাই ফিশ বলতে বিশেষ করে সাগর হতে আহরিত মাছ যেখানে প্রক্রিয়াজাত করে যেখানে শুটকী উৎপাদন করা হয়। লইট্যা, পোঁপা, ফাইস্যাসহ নানা জাতের মাছ শুকানো হয় এখানের ফ্যাক্টরী গুলোতে। যা ঢাকা-চট্টগ্রাম ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের চিন, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হয়। ফলে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। সরকার এখান থেকে বিরাট অংকের রাজস্ব পান। আর অসংখ্য পর্যটক এখান থেকে সরাসরি শুটকী কিনে নেন।

আইস প্ল্যান্ট 

কক্সবাজারে রয়েছে অসংখ্য আইস প্ল্যান্ট অর্থাৎ বরফ তৈরির ফ্যাক্টরী। কখনো বরফ তৈরির দৃশ্য দেখেনি এমন অসংখ্য পর্যটক রয়েছে। যারা কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন-তারা শুটকী কেনার পাশাপাশি বরফ গুলো পরিদর্শন করে আনন্দ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

 পর্যটন শিল্পের বিকাশে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আন্তজার্তিকমানের শিক্ষা বিশ্বের যেসব দেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে দেশে পর্যটনের বিরাট সফলতা অর্জিত হয়েছে। আমেরিকা, ইরান, দুবাই, মক্কা, মালয়েশিয়া, ভারতের দার্জালিং সহ বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতিকে শিক্ষিত করার পাশাপাশি সবচে’ বেশি ভূমিকা রাখবে পর্যটন শিল্পে।

প্যারাবন

জেলার ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীর মোহনা ঘেঁষে শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের প্যারাবন। ভাটার সময় এক অপূর্ব সৌন্দর্য্য আর জোয়ার এলে তা আরো মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে পরিণত হয়। পুরো প্যারাবনের বিভিন্ন দিকে রয়েছে বেশ কয়েকটি গিরিপথের ন্যায় রাস্তা। ভাটার সময় কাদা মাটিতে হাঁটা যায়। জোয়ারের সময় নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করা যায়। ভ্রমণের সময় বুঝায় যাবেনা যে, এটি কি কক্সবাজারের নুনিয়াছড়ার প্যারাবন নাকি সুন্দরবন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্যারাবনকে পর্যটকদের মাঝে উপস্থাপন করা গেলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তবে এসব ‘উদ্যোগ’ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে প্রয়োজন বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন