Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি গোষ্ঠী জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার গোপন ষড়যন্ত্র করছে

রামগড় প্রতিনিধি:

রামগড় বিজিবি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম জাহিদুর রশিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি গোষ্ঠী জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার গোপন ষড়যন্ত্র করছে। তারা সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন পেশাজীবির কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদার টাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা সমাজ বা জনকল্যাণে একটি কানা কড়িও তারা ব্যয় করার নজির নেই। চাঁদার টাকায় তারা আরাম আয়েশ ও বিলাস বহুল জীবন যাপন করছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অশান্ত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্বে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও শান্তি শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখতে এসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করে জনপ্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রামগড় বিজিবি জোন সদরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় ও জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন। ‘চাঁদাবাজি-ই শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় জোন কমান্ডার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখানে কারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করছে এবং এদের সহায়তা দিচ্ছে সব তথ্যই আমাদের জানা আছে। এসব সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ থেকে ফিরে না আসলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যুব ফোরামের নামে ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সেখানে সম্পৃক্ত করছে। তারা ছেলেমেয়েদের সুকৌশলে পাহাড়ি জঙ্গি বানাচ্ছে। এ অবস্থায় নিজ নিজ সন্তানদের এ সংগঠন থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এলাকাবাসীর প্রতি তিনি বলেন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গ্রামে এলে তাৎক্ষনিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খবর দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, রামগড়ের  ব্রতচন্দ্রপাড়া ও সোনাই আগা গ্রামে বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অবিলম্বে চাঁদাবাজদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। গুজবে কান না দিতে পাহাড়ি বাঙ্গালী সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে জানাতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন মিয়া বলেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নকারীরা দেশ ও সমাজের শক্র। শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোন তথ্য দ্রুত প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে। কোন অবস্থায় এলাকার শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট করার কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না।

রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান (কাজী রিপন) তার বক্তব্যে বলেন, এখন ফেসবুকের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী তিলকে তাল করে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। গত ৩০ জুন রাত ১০ টায় রামগড় সদরের সোনাই আগা সংলগ্ন স্লুইসগেইট এলাকায় সন্ত্রাসীরা ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় কালাডেবা ও সোনাই আগা গ্রামের পাহাড়ি বাঙ্গালী গ্রামবাসীরা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। অথচ একটি মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাহাড়ি গ্রামে বাঙ্গালীরা হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করার মতো জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। পাহাড়ি বাঙ্গালী গ্রামবাসী এবং প্রশাসনের ভূমিকায় ওই মহলের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রামগড় ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নবরায় ত্রিপুরা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সরকারের সাথে জনসংহতি সমিতির শান্তি চুক্তি  হওয়ার পরও  পার্বত্য এলাকায় এখনো চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখানে নতুন করে  একের পর এক সংগঠনের জন্ম  হয়েছে। এসব সংগঠন পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। পাহাড়ি বাঙ্গালী সবাই এদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

হেডম্যানদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে আশুতোষ রোয়াজা বলেন, ৩০জুন রাতে একটি গোষ্ঠী কালাডেবা সোনাই আগা গ্রামে  লংগদুর মত ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল। পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনীন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, সকলে মিলে চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে ও বিজিবির টহল বাড়াতে হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রামগড় জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবির, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার, পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর, বাদশা মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম, কার্বারী ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, শিক্ষক সুধীর চন্দ্র সরকার ও রুম্রচাই কার্বারী প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন