পাহাড়েও উন্নয়নের জোয়ার

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

শেখ হাসিনার সরকার পাহাড়ে শান্তি আনায়নে শান্তি চুক্তি থেকে শুরু করে শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এ সব সহায়তা করে যাচ্ছেন পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের উন্নয়নে। বিগত ৪ বছরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, এলজিইডি, পিআইও অফিস,  জেলা প্রশাসন, যুব উন্নয়ন অফিস, জনস্বাস্থ্য অফিস ও সমবায় অফিসসহ সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এসব কাজ করে  নাইক্ষ্যংছড়ির চেহারা পাল্টে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। সরকার এভাবে কাজ করেই উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন পাহাড়কে। এতে তারা খুবই খুশি।

১১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উন্নয়ন মেলা-২০১৮ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি শুরুর প্রাক্কালে উপস্থিত পাহাড়ি-বাঙালি নেতারা এসব কথা বলেন।

পরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল ও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের নের্তৃত্বে র‌্যালি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের ন্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করেন ভিডিও কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ৩৮টি স্টল নিজেদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার চেষ্টায় ছিলেন জনসমক্ষে।

তবে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, যে সব স্টল ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন-এ গুলো হলো: এলজিইডি, সদর ইউনিয়ন পরিষদ, যুব উন্নয়ন, থানা পুলিশ, ইসলামী ফাইন্ডেশন ও কৃষি অফিসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পিআইও অফিস, মৎস্য অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে তাদেন স্টল গুলো বসিয়ে যার যার মতো করে বাসা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। লোকজন স্টলে গিয়েও তাদের ( এ প্রতিষ্ঠানের) সারা বছরের উন্নয়ন সম্পর্কে তেমন ধরণা নিতে পারে নি এ কারণে।

এ বিষয়ে অনেকে বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যেন তারা আরো মনোযোগী হয় ভবিষ্যতে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন। তারা যেন সরকারি কাজে আরো মনোযোগী হয়। আর সরকারি যে কোন কাজে অবহেলা না করতে বৃহস্পতিবার হিসাব রক্ষণ অফিসারকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে লিখিতভাবে।

উল্লেখ্য তিন দিনের এ মেলা চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। শেষের দিন শ্রেষ্ঠ স্টল গুলোকে পুরস্কৃত করবেন উপজেলা প্রশাসন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন